ফাল্গুনী দ্যাখো কিভাবে কিভাবে যেন
আবার ফাগুন এসেই গেলো--
শ্রাবণে তোমার নাম ছিলো শ্রাবণী
অন্য মৌসুমে --মৌসুমী ,
কতো নামের মানুষ ছিলে একজনই তুমি,
সে আমার হয়ে তুমি--
আচ্ছা, বলো তো ,এই নচ্ছার নশ্বর পৃথিবীতে
অবিনশ্বর প্রেম কেনো আসে ?
কেনো দু’জনের মাঝে প্রবাহিত সুখের স্বচ্ছ জলধারা
লোনা আঁখি জলের বাণ হয়ে যায় ?
কেনো দাবানলে পোড়ে সবুজ মনোভূমি ?
আমি তো ছিলাম জ্যোৎস্নার রূপালী আলোয়,
তুমি হয়তো জোনাকের পাখায় পাখায় স্নিগ্ধ আলো হয়ে--
কেনো বলো তো দাউ দাউ উদ্বাহু এই
অপ্রাপ্তির অগ্নি জ্বলছে অহর্নিশ মনে ?
ফাগুনের রঙ বাহারের মাঝে সঙ সেজে দাঁড়িয়ে
রোদ খাচ্ছি বিকৃত মুখে করে--
তোমার আঁচল মুছে দেবে ঘর্মাক্ত মুখ,
নেই ----, সেই আশা নেই --
আলোস্যে কি বিতৃষ্ণায় , রূমালও উঠে না হাতে
বরং ভেজামুখে চোখের জল মিলেমিশে যায়--
অবলীলায়--


এই কবিতার দিনে , এই গানের দিনে --
আমাকে থাকতে হবে একা একা ?
কেনো শিখিয়েছিলে বলো একসাথে করতে সুন্দরের চাষ ?
হাঁটতে হাঁটতে হেয়ার রোডের কাছটায় যখন পৌঁছাবো
জানি কোকিলের ডাক শুনবো কুহু কুহু ---
হয়তো ধরে রাখতে পারবো না নিজেকে
হাহাকারের কান্না বইবে বুকে হু হু --
দূর ছাই --
ভুলে যেতে চাই--
যাই, সব ভুলে যাই ---
ধরে নেই, তুমি ছিলে কোনো উপন্যাসের পাতাতেই,
না হয় ধরা যাক , কোনো নাটকের নায়িকাই,
অধরা--
এই হাস্যোজ্জ্বল বসন্ত বাতাসে বড় বেমানান
বিষন্ন যুবকের শুখনো মুখের বিচরণ ---
সব মিলিয়ে --একটা রাগান্বিত ভাবই কি ফুটেছে
আড়ালহীন এই চেহারাতে ?
ভ্রু কোঁচকানো সাথীহারা এক ‘অ্যাংরি বার্ড’
এসেছে  যে বসন্ত মেলায় নিজেকে ফিরে পেতে ।