একটি কথাই বলতে তোমায় চেয়েছি হাজার বার
শুনতেই তুমি চাওনি বলেই বলা হয়নি তা আর।
পৃথিবীটা কতো বদলে যে গেছে বোঝ নি কখনো তুমি
পুরানো সবেই ভক্তি তোমার, ধ্যানে এ জন্মভূমি।
আমি চঞ্চল, ছেড়ে অঞ্চল ছুটেছি  বিদেশ পানে
কত কি দেখেছি ,কতো কি শিখেছি এদেশে কজনা জানে।
শরবত ছেড়ে সুরায় ডুবেছি, পান্তা বদলে পাস্তা
তুমি রয়ে গেছো সাবেকী হালেই, আলু পরোটার নাস্তা।
স্বল্প-বসনে মনটা কেড়েছে আধুনিকা কতো নারী
আকর্ষনীয়া তো লাগতো ভেবেছ পড়ে বাসন্তী শাড়ী।


এসব কিছুই বলতে তোমাকে চেয়ে গেছি বার বার
বলা হয়নি ,শোনই নি তুমি কি করার ছিলো আর।
সরল তোমার সহজ মনেতে ছলে কাঁদা গেছি ছুঁড়ে
ভগ্ন তোমায় ফেলে রেখে শেষে পালিয়েই গেছি দূরে ।
শুনেছি তুমি তো অনুযোগ কোন কর নি আমার নামে
ভেঙ্গে দেয়া সে মোর প্রতিশ্রুতি রেখেছো গোপন খামে;
জানিনা তো তুমি ভেবেছিলে কিনা ফিরবো হয়তো আমি
অপেক্ষা করে , বহু দিন ধরে, সয়ে গেছ বদনামী ।


যে কথা তোমায় বলতে চাইছি আমি আজ বার বার
সে কথা শুনতে তুমিই বন্ধু  নেই শুধু পাশে আর।
আমি হতভাগা বুঝেছি সে পরে, তুমি ছিলে কে যে মোর
তোমার জন্যে বুকেতে শ্রাবণ, ভিজে চোখ নিশি ভোর।
তোমার খোঁজেই ফিরেছি এ আমি হয়ে যে  পাগল প্রায়
চাইবো না ক্ষমা - চাইছি তোমাকে প্রেমের শীতল ছায়।
অনুরোধ শুধু প্রতিশোধ নিতে রেখোনা আমায় দূরে
এসেছি দেখনা ভুল শোধরাতে কত পথ ঘুরে  ঘুরে।


যে কথা তোমায় চাইছি বলতে কেঁদে কেঁদে এই বার
অযোগ্য প্রেমী  আমিই ছিলাম -তোমার ভালোবাসার।
এতো ডাকাডাকি, এতো খুঁজে মরি দিচ্ছ না কেন সাড়া ?
বিজয়ী তোমাকে দেখতে এসেছি আমি এক  সর্বহারা।
ফেরারী তোমার আসামী এসেছে দেখে যাও একবার
মরণের আগে বাজুক না বাঁশী মিলনের শেষবার।


( কবিতাটি ছন্ন-ছাড়া ছন্দে লিখেছিলাম বেশ আগে , এবার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে নির্মাণের প্রচেষ্টা করেছি , ৬,৬,৬,২ মাত্রার পর্বে সাজানো হয়েছে এ কবিতা , থিম এবং পরিবেশনা প্রাচীন-গন্ধি হলেও , মানুষের তীব্র আবেগের বহ্নি চিরকালীন বলেই মনে করি ।)