রহস্যময়ী কৌকিল পাখি
বাসা নেই তাদের,
যাযাবরী হয়ে ঘুরে বেড়ায়
নেইতো জায়গা সাধের।


বসন্তকালে গাছের ঢালে
কুহুকুহু তানে,
মুখরিত করে কালটি
তাদের সুর করা গানে।


ছোট্র একটা গাছের উপর
নলফটকির বাসা,
সেখানেতেই চারটি ডিম
তাপ দিতে হয় ঠাসা।


মা নলফটকি পাহারা দিত
নিজের চারটি ডিম,
খাবার জন্য বাহিরে যেতেই
হানা দিলো কৌকিলিনি।


সেখান থেকেই একটা ডিম
সরিয়ে নিয়ে নিজে,
নিজে সেখানে ডিম পেড়ে
হয় যে উদাও সে যে।


আর কোনদিন কৌকিলিনি
ডিমের খবর নেয় না,
ডিমের যে কি হয়েছে তাতে
তার কিছু আসে যায় না।


নিজের কোন বাসা নেই
তাইতো অন্যের বাসায়,
অন্য পাখির ডিম সরিয়ে
নিজের টা বসায়।


মা নলফটকির দেয়া তাপে
জন্ম নেয় কৌকিল ছানা,
দেখতে তার মত না হলেও
যত্ন করতে নেই তো মানা।


চোখ না ফোটা অবস্থায়
নলফটকির বাকী ডিমগুলো
এক এক করে ফেলে দিয়ে
সে রাজত্ব করে সবগুলোর।


নিজের বাকি ডিমগুলে ফেলে দেওয়াতে
হয়না তারা কখনো রাগ,
পরম আদরে বড় করে
সহ্য করে সব কুপোকাত।


মাত্র দুই সাপ্তাহে সে
দৈর্ঘ্যে ছাড়িয়ে যায় পালিত বাবা মাকে,
নলফটকিরা বুঝতে পারে না
নির্মম এই রহস্যটাকে।


একসময় নলফটকি দম্পতীর বাসা থেকে
কৌকিল দেয় উড়াল ধীরে,
আরে আসে না কভু ফিরে
পালিত বাবা-মায়ের নীড়ে।


প্রকৃতির নিয়মে সেও হয়তো
খুঁজে নিবে নতুন কোন দম্পত্তির বাড়ি,
চুরি করে রেখে আসবে
নিজের ডিমের সারি ।