সোনালী সূর্য উঠবে আকাশে
মহুয়ার মাদল মাতবে বাতাসে,
পুকুরের পাড়ে আসবে ডাহুক -
ভীরু-ভয়ে  মিশে,
শত পানকৌড়ির দল ফিরবে নীড়ে -
ঝাঁকে ঝাঁকে , হয়তো কোনো এক অজানা সুরে |
কিন্তু সেই সময়-সাথীটি তো আর এলো না
যে বেরোল অন্ধ্য মায়াবী ভোরে ?


পূবের জানালা খুলে সূর্য্যের গন্ধে
কবিতা লিখতে লিখতে বিস্বাদে
দেখে পশ্চিমের জানালায় মুখ রেখে
ক্লান্ত রবি কাঁদে !
কত অসহায় দিন, খাতা কবিতাহীন, এই ভাবে বৃথা চলে যায়;
সন্ধ্যা একাকী গুমরে কাঁদে আঁধারের কোলে,
ভাবে দিন কেন চলে গেলো কাউকে কিছু না বলে ?
আধো অন্ধকার ঘরে , মুড়ি দিয়ে চাদরে
ঝর্ণা কলম হাতে , মুখ থুবড়ে থাকে পড়ে
কিছু লেখার তরে, জীর্ণ ভাঙা টেবিলের ধারে
আসে না রোমাঞ্চকর সোনালী রোদ  আজ সেই ঘরে ।


যারা ভেবেছে এ পৃথিবী অন্ধকারময়,
এ কবির কাছে আর নয়,
ফাঁকির ফাঁক দিয়ে তারা নিয়েছে বিদায় ।
তবু কেন তোমার এই প্রতীক্ষা?   অজানা ,
হিসেবে নিয়েছো যারা চলে গেলো, তারা আর ফিরেছে কিনা ?


ভেজা দরজার ফাঁক দিয়ে
দূরের কাঁপানো সান্ধ্যপ্রদীপ দেখে যদি ভাব -
তোমার সেই শরৎ, সেই কবিতার ভাষা
তবে অবুঝ কবি তুমি ! জানোনা ?
যারা একবার চলে যায় , তারা আর ফেরে না,
কিছু অবসরে, ক্ষনিকের তরে ওদের এই ব্যর্থ পৃথিবীতে আসা ।