একটা অন্ধকার
গুহা আছে আমার ভেতর,
আলো প্রবেশ করে না, তবে আলো-হওয়ার স্মৃতি আছে;
আলোর নাম ঠিক মনে নেই,
সে নাকি হাসত, ঝর্ণার মত।
প্রতিদিন আমি গুহার দেয়ালে হাত রাখি,
আঙুলে ছুঁয়ে দেখি—
অদৃশ্য কিছু শব্দ আঁকা,
কেউ একদিন এসব শব্দে শব্দে বলেছিলো কথা।
আমার চোখ এখন ঘূর্ণায়মান জাদুঘর
সেখানে চলচিত্রের মত ভেসে উঠে,
একটা অজানা মুখ,
যার ঠোঁট আমার নাম উচ্চারণ করে না,
তবু আমি কল্পনা করি, আমি তখন ছিলাম নিঃশ্বাসের কাছে।
আমার মন একটা ক্যাকটাসের বাগান—
বাহ্যিক চামড়া শুষ্ক, তীক্ষ্ণ, কিন্তু ভেতরে রস,
সে জানে না, কেউ জানে না,
আমি নিজেও মাঝে মাঝে ভুলে যাই
এই কাঁটার নিচে এক জলাধার ছিল।
আমি এখন ঘুমহীন
জোছনার নিচে দাঁড়িয়ে থাকি,
আলো ছায়ার পিঠে চিঠি লিখে যায়,
আমি পড়ি না, শুধু অনুভব করি—
এই ভাষা বোধহয় কেবল হৃদয় জানে,
অথবা যেসব স্মৃতি ঘুম পায় না, তারাই জানে।
আমার যাপন এক ডায়েরির মত,
যার পৃষ্ঠা প্রতিদিন সাদা হয়,
অথচ, চেতনায় ছাপ থেকে যায় পুরনো ছিন্ন পঙ্ক্তির,
একটা হাসি, একটা ঝুলে থাকা দৃষ্টি,
একটা দাগ যা জলেও মুছে যায় না।
তাকে আমি নাম দিইনি,
কারণ নাম দিলে সে মানুষ হয়ে যেত,
আর সে তো এখন কেবল এক রূপক,
একটা ছায়াপথ—
যেটা আমি প্রতিদিন পার হই,
কিন্তু কখনো পৌঁছাই না।
কেমন আছি আমি?
"মেঘে ঢাকা সূর্যের মত",
আলো আছি, কিন্তু কেউ দেখে না,
যে গুহাটায় আমি বাস করি,
তার দেয়াল ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রতিদিন বাঁচি
জুন ৯, ২০২৫ বিকেল ৫টা
মিরপুর, ঢাকা