আলোচনা  ১৯৮


কবি তামান্না ফেরদৌস এর কবিতা পড়তে বেশ লাগে, তার অনেক কবিতাই পড়েছি কিন্তু আলোচনা করতে খুব একটা সাহস পাই না। যে উচ্চতায় কবিতা লিখেন উনি, সেই উচ্চতায় আলোচনা করার জ্ঞান এবং বোধবুদ্ধি আমার এখনো হয়নি। আজকে আলোচনা করছি বেশ সাহস নিয়ে, কবি’র মন্তব্য পেলে বুঝতে পারবো, নিজের সাথে বোঝাপরার একটা সুযোগ তৈরী হবে। আজকের কবিতাটি আমার বেশী ভা্লো লেগেছে শিরোনামের কারনে, কবিতার ভেতরে লুকানো আছে এক বাঁধভাঙা শ্বাস এবং জীবনের একটি নিগুঢ় সত্য।


বেঁচে থাকার সাথে “স্বপ্ন থাকার” যেমন সম্পর্ক আছে আবার না থাকারও সম্পর্ক আছে। বেঁচে থাকাটা চিরন্তন, বেঁচে না থাকার কোন উপায়ও নিজের হাতে থাকে না ফলে স্বপ্ন ছাড়াও বেঁচে থেকতে হয়। স্বপ্ন ভাঙতে হয় এবং স্বপ্ন ভাঙাতেও হয়।


জীবনের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য আছে। এক সৌন্দর্যের ভেতরে লুকানো থাকা নানা রঙের সৌন্দর্য। নিজের বোধ, চর্চা, লালন এবং অনুধাবন থেকেই তা খুঁজে পাতে হয়। স্বপ্ন ভঙ্গের কারনে জীবনের সৌন্দর্য হারাতে নেই, পথে পথে ছড়ানো থাকে নানা সৌন্দর্য।


জীবনের একটি অবশ্যম্ভাবী চাওয়া ভালোবাসায় অবগাহন, কখনো হারিয়েও যেতে পারে তা, হয়তো বা লুকানো থাকে গহীন কোন এক কোণে। চলতি পথে, ফিরতি পথে লুকানো ভালোবাসা নুতন  করে সৌন্দর্যের হাওয়া বইয়ে দিতে পারে মনে। ভালোবাসা পাওয়া না-পাওয়ায় দিশেহারা না থেকেও জীবনের লুকানো সৌন্দর্যকে উপভোগের মাত্রায় রাখতে হয়।


ভালোবাসা কি ক্ষয় হতে পারে? হতে পারে কি বিনাস? অপেক্ষার সাথেও ভালোবাসা সজীব রাখা যেতে পারে প্রতিনিয়ত যত্নে, আদরে, নিভৃতে। প্রাপ্তিতেই কেবল জীবনে মূল সৌন্দর্য নাও হতে পারে, অপ্রাপ্তিতেও সৌন্দর্য বিকশিত হতে পারে নিজ গুনে যদি অব্যাহত থাকে ভালোবাসার চর্চা।


কবিতাটি পড়তে যতোটা ভালো লেগেছে, ব্যাখা করতে ততোটা পারা যাচ্ছে না। ভেতর থেকে উঠে আসা শব্দ সমন্বয়ে কবিতার গাথুনি সব সময় শব্দে ব্যাখা করা যায় না।


নিজের অনুভব, নিজের মতো করেই ব্যক্ত করলাম , কবি’র ভাবনার সাথে নাও মিলতে পারে।


কবি’র জন্য রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।