আলোচনা ১৯
কবিতাটি পড়ে পাঠক এবং কবির ভাবনা এক নাও হতে পারে আবার ভিন্ন ভিন্ন পাঠক ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা দ্বারা তাড়িত হতে পারে। কেউ ভাবতে পারে, পূর্ববর্তী প্রজন্মের কথা বলা  হচ্ছে, রাজা বাদশাদের আমল, কিংবা নিজেদের বাবা দাদাদের আমলের তার কীর্তি কলাপ, যার বেশীর ভাগই মানুষ ঘৃণা করে, আবার অন্য কেউ অন্য কিছু ভাবতে পারে। আমার ভাবনায় বেশী কাজ করছে,  পূর্ববর্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কার্যকলাপ এবং তা কোন দেশের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে।


রাজনৈতিক ব্যক্তিগন বার বার ক্ষমতায় আসে আবার ফিরে যায় কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তারা ভাল কোন চিহ্ন রেখে যেতে পারে না, যা মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে দীর্ঘদিন। সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবী বদলায়, মানুষের জীবনাচরণ বদলায়, সাধারণ মানুষ কিংবা সৃষ্টিশীল মানুষ সময়ের বদলে, পৃথিবীর বদলে যাবার ইতিহাসে নানাভাবে অবদান রাখে কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিগন,সমাজ বদলের সাক্ষী থাকেন কিন্তু খুবই ঘৃণ্য ভাবে। তাই কবি বলেন “যারা আসে তারা ফের ফিরে চলে যায়, রেখে যায় অনেক পদচিহ্ন, যার মাঝে বেশিটাই ঘৃণ্য!


কিছু শাসকের ঘৃণ্য কার্যকলাপের কারনে, দিন বদল হয় ঠিকই, পৃথিবী সামনে এগিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু “দিনে দিনে হতে থাকে পৃথিবীটা জীর্ণ! আগামীতে নুতন শাসকের কাছে জনতার নুতন কিছু আশা থাকে, প্রত্যাশা থাকে। পুরনো শাসকের অন্যায় কাজগুলো নুতন শাসকের দ্বারা সংশোধিত হবে।  মানুষ ফিরে পাবে আশার জায়গা, নুতনের জয়গান করবে মানুষ, দিন বদলের সাক্ষী হবে নুতনের প্রত্যাশা বুকে নিয়ে। আবার কেউ কেউ হতাশায় নিমজ্জিত থাকে, নুতনের মাঝে পুরনোকেই খুজে পায়, নুতন শাসকের দ্বারা মুক্তির কোন পথ তৈরি হবে না, পুরনো অন্যায়েরও কোন বিচার হবে না তাই তারা ওপরওয়ালার কাছে বিচার দেন, অপেক্ষায় থাকেন সঠিক বিচার হবে, শাসক তার অন্যায়ের শাস্তি পাবে, যেমনটা লিখেছেন কবি “মেলে ধরে নির্দ্বিধায় আগামীর সীমানায়, সান্ত্বনা কেউ খুঁজে পায়, কেউ বা রয় নিরুপায়! কেউ থাকে ওপারের বিচারের প্রতীক্ষায়!”।


আমার কাছে কবিতাটি বেশ লাগেছে কেননা বাস্তবভিত্তিক ভাবনার ছাপ পাওয়া যায়, জীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বলেই মনে হয়েছে। কবির জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো, ভাল থাকবেন।