ঘর ভর্তি শূন্যতায় ডুবে যায় রোদ
বেলায় বেলায় উন্মুক্ত হয় ভোর
দিনের মাথায় রাত আর রাতের পরে দিন হবেই
এমন তো কথা নেই
তবু তাইতো হয়;
সময়ের সাথে সময়ে রবন্ধুত্ব হয় না বলেই মৃত্যু দেখি এতো!
সময়কে হত্যা করা গুরুতর অপরাধ,
আমরা কি কখোনোই তা জানবো না!


আমরাই কেউ –না কেউ তৈরি করি তপ্ত বালিয়াড়ি,
আমাদের শোবার ঘরে অথবা বাগানে
রোদ জল ঝড় উপেক্ষা করে হাঁটি
একান্তে কী এক মহাকাল বুকে পুষে রাখি
তাবৎ তরঙ্গ ও শূন্য আরণ্যক জুড়ে
তা কজন বুঝি!
অর্ধেক বয়েসেই চতুর্গুণ যাপন মুখস্থ করা অতো সহজ নয়
জেনে ওমু খস্থ করি।


অবলিলায় হাঁটে যুগ
অথচ যাপনের কাল্পনিক তরঙ্গ এতো শব্দ খোঁজে কেন?
কেউ তো ডাকে না অমন !
তবু বিনয়ের সেতার কাঁদে !
এদিক ওদিক কেউ নেই
চেনা বা অচেনা ! তবু কাকে যেনো খুঁজি সঙ্গপোনে
আয়েসে আপনে অক্লেশে কাকে চাই ভুল করে ?


মনে হয়, এতোটা অবুঝ কেন আমি!
কেনই বা বিপন্ন এতো
বিঘত এই বোধ!
ইহলোকে কতবার আত্মহত্যা করে যাচ্ছি রোজ
আমিও জানি না।
আপনি কি জানেন?
আপনার কি চোখ মুখ আঙুল ঘাসে রউপর দিয়ে
হাসতে হাসতে ছোটে,  অবেলায় ?
আপনার কষ্ট হয়- বিকেল অথবা সন্ধ্যায় ?
দেশলাই জ্বেলে আরশোলা খোঁজেন গভীর রাতে?
দেয়ালে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বাথরুমের সুইচ খোঁজেন?
অথবা ঘুম ভেঙেগেলে মারাত্মক জ্বরো কণ্ঠে
জল চেয়ে চুপ হয়ে যান!
কেমন লাগে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভুলে স্বরিত জীবন?


কেউ একজন দূরে দাঁড়ি য়েআছে মনে হয় কখনো?
সারাক্ষণ অলোক বেলার
পাখি হয়ে উড়ে যায় ঘুরে আসে কেউ,
এমনটা মনে হয়?
পায়ের তলায় ফুস্কুড়ির যন্ত্রণায় কাতর হলে হাসি আসে ?
কিচ্ছু হয় না!


সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
মিরপুর, ঢাকা
রাত ১১.৩০ মিঃ