কয়েকদিন ধরে
প্রশ্নটি বেশ যন্ত্রণা দিচ্ছিল
অজানা উত্তরের নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছিলাম
অনেকের সাথে আলাপও হল
কিন্তু যুতসই কোন উত্তর পাওয়া গেল না ।


সব মানুষই বিষণ্ণ হয়
কেউ পুরো জীবনে একবার
কেউ অনেকবার, বার বার
কেইবা আবার ঘটনার আগে কিংবা পরে, হিসেব করে
আবার কেউ কিঞ্চিৎ শখ করে ।


মানুষের বিষণ্ণতার কারন কি?
দারিদ্রতা, প্রেমিকার চলে যাওয়া,
চাকুরিতে প্রমোশন না পাওয়া,
প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলা,
দিনের পর দিন হাসপাতালে থাকা,
পরীক্ষায় ভাল ফল না আসা,
বাসস্থানের অভাবে ভাসমান থাকা,
প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া,
কিংবা এরকম আরও কিছু হয়তো ।


ঈশ্বরের ক্ষেত্রে
এর কোনটাই প্রযোজ্য নয়
কোন সম্ভাবনাও নেই,
ঈশ্বরের অভাব নেই, আত্মিয় স্বজন,
প্রেমিক-প্রেমিকা কেউ নেই;
চাকরি, বাসস্থান,
গাড়ি, বাড়ি, নারী, তাড়ি.........
কোন কিছুর অভাব নেই, চাহিদাও নেই ।


মানুষ মাঝে মাঝে
বিষণ্ণ হয়,
রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে
অধস্তন কেউ কথা না শুনলে
জ্বলে উঠে এবং কিছুক্ষন বিষণ্ণ থাকে,
কিন্তু ক্ষমতা চর্চার মাধ্যমে
বিষণ্ণতা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হতে পারে।


কিন্তু ঈশ্বর?
নিজের সৃষ্ট মানুষগুলো
কথা শোনে না, যা করতে বলা হয়, তা করে না
অন্যায় অত্যাচার জুলুম করতে পিছপা হয় না;
হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষে একে অপরকে ছাড়ে না
প্রকৃতিকে অত্যাচারে রাখতে দ্বিধা করে না
এমনকি, ঈশ্বরের গুণকীর্তনও করে না
তারপরও তাদের চাওয়ার শেষ থাকে না ।


ঈশ্বর তার মহানুভবতার গুনে
শাস্তি প্রদান করতে পারে না;
প্রকাশ্য ঘোষণার কারনে
যখন তখন বিচার করতে পারে না;
আলো, বাতাস, পানি... কোন কিছুতেই হেরফের করতে পারে না
কাউকে ধমক দিতে পারে না, শাসাতে পারে না;
তারই সৃষ্টির অন্যায় সহ্য করতে পারে না
কিছু বলতে পারে না, করতে পারে না
কেবল অপেক্ষা করতে পারে
তাই ঈশ্বর বিষণ্ণ !!


অক্টোবর ০৩, ২০১৮
কক্সবাজার