আমি নিরাপদ অন্ধকারে প্রবেশ করি
প্রতিদিন রাতে;
রাত এগারোটা থেকে দিনের শেষ মিনিট
অর্থাৎ রাত বারোটা পর্যন্ত;
আমি আমার জন্য, সময়ের কাছে আত্মসমর্পিত আমি;
এক কাপ গরম কফি,
একটা সিগারেট আর রবীন্দ্র সঙ্গীত
বেশির ভাগ সময়েই প্রার্থনা কিংবা
পূজো পর্বের সঙ্গীত।


ধায় যেন মোর
সকল ভালোবাসা
প্রভু, তোমার পানে, তোমার পানে;
যায় যেন মোর সকল গভীর আশা
প্রভু
তোমার কানে, তোমার কানে......
রবীন্দ্রনাথ নিজে উপস্থিত না থেকেও
উপস্থিত থাকেন;
নিজের কাছে নিজেই ফিরে যাই;
ঈশ্বরকে না দেখেও দেখতে পাই।


নিরাপদ অন্ধকারে
আমার অবিশ্বাসী ছায়া,আমাকে অনুসরণ করে না;
আমার ভয়ানক শত্রু,মৃত্যু এবং ক্ষুধা
আমাকে স্পর্শ করে না;
আমার কামাতুর দেহ
কাছে আসতে সাহস পায় না
আমি নিরাপদ থাকি, আমার কাছে;
প্রতিদিন এক ঘন্টার নিরাপত্তার জন্য
আমি দিনভর অপেক্ষা করি।


নীরব নিথর শান্তি আমায়
পাহাড়ায় রাখে;
ঘোলা জলের নাগরিক অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকি।
ভোগদখলের নির্বোধ গতি তখন থাকে স্থির
যোগ বিয়োগের অংকগুলো ঘুমোয়;
কাক ডাকা ভোরের যান্ত্রিক হাতছান তখনো নীরব
আমি কেবল আমার সাথেই থাকি
ঈশ্বরের কাছাকাছি।


নির্জন নিঃসঙ্গতা; আর
নিরাপদ অন্ধকার
আমার একার।
রুগ্ন অপরিচিত দেহের সক্ষমতার অভাব
মস্তিস্কের গভীরে রক্ত ক্ষরণ হবার
আশংকা থাকে বটে;
আত্মাকে দ্বিখণ্ডিত করে রাখা বিষাদ্গুলো
তখনো নিরাপদ দূরত্বেই থাকে।


আমি নীরবতায় নিরাপদ অন্ধকারে
বেশ ভালো থাকি;
আকাঙ্খিত সুখে নিজেকে আচ্ছন্ন রাখি।


মিরপুর, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ভোর ৬টা