পাশাপাশি শুয়ে থাকা
নিষ্পলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা
নীরবতার সান্নিধ্যে থাকা
তবুও একা


সংক্ষিপ্ত জীবন যাত্রায়
সুখ, দুঃখ, ক্ষোভের মাত্রায়
তবুও ছিলাম ভালোবাসার উষ্ণতায়
এখনো পাশাপাশি, একা থাকায়


কতো স্মৃতি ঘটনা, রটনা
ছেলে মেয়েদের লালন করার যাতনা
কখনো বা তীব্র অভাবের তাড়না
ভাঙ্গেনি দুজনের ধর্যের সীমানা


শুরুটা ছিলো স্বপ্নে ভরপুর
কিছু প্রত্যাশা হয়েছিলো কর্পূর
আস্থা ও ভরসা ছিল পরস্পর
সংগ্রাম, সাধনায় অবশেষে সফল


দারিদ্রতা থেকে সফলতার পথরেখা
অদৃশ্য সত্ত্বার ঈশারায় আঁকা
একই বিশ্বাসে দুজনে অটল থাকা
ইনশাআল্লাহ, জান্নাতে হবে আবার দেখা


নীরবতার সান্নিধ্য
ভিন্নতায় মোড়া
উষ্ণতা নেই, অনুভবে আগাগোড়া
প্রার্থনা রইলো, জান্নাতে যাবো না তোমাকে ছাড়া


ছেলেমেয়েরা মাঝে মাঝেই এখানে আসে
বসে থাকে, তোমার আমার পাশে
কথা হয় নীরবতার বাঁকে
অনুভবেই থাকি আমরা, একসাথে


আবার কি দেখা হবে
আমাদের সন্তানদের সাথে?
নিশ্চই হবে একদিন, যদি
ওরা থাকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে।


ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২
বিকেল ৫টা
কাশীপুর কবরস্থান, নারায়নগঞ্জ