ছোট বেলায় অনেক গল্প শুনতাম
নদী নাকি বাঁক নেয়;
নদীরও একটা জীবন আছে;
এসব নানা প্রশ্ন; জমা হতো মনে।


নদী কিভাবে বাঁক নেয়?
কেন নেয়?
বাঁক নিতে কষ্ট হয় কি না?
ইচ্ছে করেই বাঁক নেয়
নাকি, বাধ্য হয়ে?


এখন আর
এসব প্রশ্ন আসে না মনে;
খুব কাছ থেকে বাক দেখেছি
একের পর এক, বারবার বাক নিতেও দেখেছি।


এখন ভিন্ন প্রশ্ন
বাঁক নিতে গিয়ে নদীর কি মৃত্যু হয়?
নাকি জীবন্মৃত থাকে?
সব নদীর কি বাঁক নিতে  হয়
নাকি, কোন কোন নদীর?


বাঁক নিলে নদীর কি লাভ?
কে বাঁক নিকে বলে তাকে?
নদী চাইলেই কি
নিজের বাঁক নেয়া বন্ধ করতে পারতো?
নাকি নদীর ভাগ্য খাতায় এসব
আগেই লেখাই ছিল?
বাঁক নিতে গিয়ে নদীকে কি কি হারাতে হয়?
কি কি বিসর্জন দিতে হয়?


বাঁক ছাড়াই তো অনেক নদী
বেশ ভালো থাকে;
খরস্রোত থাকে
উত্তাল থাকে, উদ্দ্যম থাকে!!
বাঁক নেয়ার সাথে
নদীর জীবন বৃত্তান্তের কি সম্পর্ক?


সামান্য এক নদীর বাঁক নিয়ে
এতো প্রশ্ন কেন?


আমি যদি পরজনমে নদী হয়ে জন্মাই
তাই, জেনে রাখা আর কি!!
আমি ঈশবরের কাছে
খুব করে প্রার্থনা করবো
বাঁকবিহীন নদী হতে চাইবো।


মিরপুর, ঢাকা
আগষ্ট ২৯, ২০২২, রাত ১১টা