আমি দেখি তোমাকে
আভিজাত্যের বন্ধুত্বে;
নম্র চাহনি, উদার হাসি
দিল খোলামন, মানবিকতায় মোড়া।


আবার
লাঙলের তীক্ষ্ণ ফলার মতো
তীর্যক বাক্যবান
নগর মৃত্তিকায় সোনা ফলানোর চেষ্টা;
তুমি নিপুণ চাষী, নিখুত শিল্পী।


তুমি গল্প শোনাতে পারো
কবিতার মতো করে;
জীবন নিয়ে তামাশা করতে পারো
যখন তখন, অবলীলায়, নির্ভাবনায়।
জীবনের ব্যবচ্ছেদ করতে পারো কলমের খোঁচায়।


আমার সব অর্জন
ম্লান হয়ে যায়, তোমার;
মুঠোফোনের কাছে, তোমার
একটি মাত্র ফেসবুক স্ট্যাটাসের কাছে।


সত্যি করে বলছি
অসাধারন সব যাদুকরি কথা!
কি এক সম্মোহনী ক্ষমতা তোমার!
আমার আর কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না।
আমি চুপচাপ বসে থাকি
ধ্যানমগ্নতায় থাকি;
তোমার উচ্চতার মাপে
নিজেকে ছোট দেখি, তাই দুরেই থাকি।


আমি তোমাকে চিনি
নগর মৃত্তিকার চাষী হিসেবে;
যেখানে প্রতিনিয়ত চাষ হয়
হিংস্রতা, বর্বরতা, অমানবিকতা।


কোন প্রকার কীটনাশক কিংবা
বাইরে থেকে আমদানি করা সার ছাড়াই
মনুষ্যত্বের চাষ;
তোমার প্রতিদিনের ধ্যান, জ্ঞান।


গ্রামীন মৃত্তিকায়
এতোটা চাষের প্রয়োজন হয় না;
তাই তুমি, নগর মৃত্তিকার চাষী।


বসুন্ধারা, ঢাকা
অক্টোবর ১৩, ২০২২, দুপুর ২টা