অনুভুতি ব্যাংকের প্রধান
হিসেবে, প্রতিনিয়ত জমা রাখা
অনুভূতিগুলোকে পাহারায় রাখতে হয়;
আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি
হতাশায় আক্রান্ত হয়ে যাই;
চাকরিটা ছেড়ে দিতে চাই
কিন্তু পারি না, অপেক্ষায় আছি
কোন একদিন ছেড়ে দিব ।


জবরদস্তী উপভোগের অনুভূতিগুলো
বীভৎস, আকাঙ্ক্ষার আগুনে
ঝলসানো, খাবলে খাওয়া হিংস্র জানোয়ার এর মত;
অশুভ প্রেতাত্মার মত ছটফটানো;
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন শকুনের মত।


শুন্যতার অনুভূতিগুলো
প্রলয় ওঠার পূর্বে থমকে
থাকা কিছুক্ষনের মত;
একটি দীর্ঘায়িত রাস্তা ধরে চলা এক
বিষণ্ণ যুবকের মত, তার মুখমণ্ডল দেখা যায় না;
ক্রমাগত হেটে যাওয়ার মত।


নানারকম অনুভূতি
জমা আছে এই ব্যাংকে;
পরাজিত হওয়ার অনুভুতি, শোষিতের অনুভূতি;
শোষকের অনুভূতি,
আগ্রাসন, আগ্রাসী, অত্যাচার, অত্যাচারিত,
হিংস্রতা......... হরেক রকম।


প্রেম, বিরহ, প্রত্যাখ্যান, কিংবা
অসফলতার অনুভুতি সবচেয়ে বেশি; কিন্তু
খুবই কম অনুভুতি আছে, বলা যায়
হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র
“প্রয়োজনে হাতটি বাড়িয়ে দেয়ার অনুভুতি”


এত অনুভুতি দেখতে দেখতে
আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি;
শুধুমাত্র একটি অনুভুতি দেখার জন্য
প্রতিদিন অনুভুতি ব্যাংকে হাজির থাকি;
দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকি
আজও পাচ্ছি না, পেলেই চাকরিটা ছেড়ে দিব ভাবছি
“মানুষ থাকার, মানুষ হতে পারার অনুভুতি”
কক্সবাজার
নভেম্বর ৩০, ২০১৮