মানব জীবনের একটা
চির অনুষঙ্গ হলো “অপেক্ষা”;
সবাই অপেক্ষা করে;
কিছু না কিছুর জন্য অপেক্ষা তো থাকেই
এটাই জীবন।
অপেক্ষাগুলো নানা রঙের হয়
ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির জন্ম দেয়।


কেউ পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করে;
কেউ প্রেকিমার জন্য কফি হাউসে;
কেউ ট্রেনের জন্য স্টেশনে
কেউ চাকুরী পাবার জন্য;
প্রমোশনে জন্য;
ভিন দেশে ভ্রমনের জন্য;
বিয়ের জন্য;
ব্যবসায় উন্নতির জন্য;
সমুদ্র বন্দর থেকে মাল খালাসের জন্য;
কত রকমের অপেক্ষা!!
ভাবতে ভাবতেই খেই হারিয়ে ফেলি।


হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে
বাড়ি ফেরার অপেক্ষা;
নুতন সন্তানের আগমনের অপেক্ষা;
টর্চার সেল থেকে মুক্তির অপেক্ষা;
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে হত্যার অপেক্ষা;
একেকটা অপেক্ষার অনুভূতিকে যদি ধারন করা যেতো?
যদি দৃশ্যমান করা যেতো?
পাওয়া কিংবা না-পাওয়া;
হারিয়ে যাওয়া কিছু ফিরে পাবার অনুভূতিগুলো?


মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য
ডাক্তারের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা এবং সুস্থতার অপেক্ষা;
মানুষকে মারার জন্যও অপেক্ষা
কথা বের করার জন্য টর্চার সেলে পুলিশের অপেক্ষা
কাটাতারের ওপারের কাউকে নিশানা করে
হত্যার অপেক্ষা;
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বোমা ফাটানোর অপেক্ষা;
আরো আছে…
হাজারো রকমে অপেক্ষা;
একই অপেক্ষা, কত রকমভাবে আসে!!
কতভাবে মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে!!
একটি মাত্র শব্দ “অপেক্ষা”
অথচ কত কি লুকিয়ে থাকে এর ভেতর !!
হাজারো অনুভূতির প্রকাশ
বিষ্ময়!!
খুবই বিস্মিত হই আমি!!


নির্বাক শব্দের সাথে
সময়, ঘটনা, প্রেক্ষিত যুক্ত হয়ে
শব্দকে সবাক করে তোলে, কি অসীম ক্ষমতায়!!
একটি শব্দ হয়ে ওঠে
শক্তিশালী কিংবা নিথর
একটি শব্দ জানান দেয়
হাজারো পৃষ্ঠার নানান রঙের অনুভুতিকে
ভাবতে বেশ অবাক লাগে!!!


অথচ
পৃথিবীর দীর্ঘতম অপেক্ষা কোনটি?
কেউ কি জানে?
একটি নিশ্চিত এবং অবধারিত ঘটনার অপেক্ষা
কিন্তু কেউ জানে না
ঘটনাটি কখন ঘটবে
অকস্মাৎ ঘটতে পারে কিংবা
অপেক্ষাও করতে হতে পারে।


“মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা”


ইংরজীতে বলে, “ওয়েটিং ফর ডেথ”
সবচেয়ে কষ্টদায়ক, যন্ত্রনাদায়ক এবং
হৃদয়বিদারক ঘটনা “ মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা”।


মিরপুর, ঢাকা
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, রাত ১২টা