শিক্ষক শিখিয়েছিলেন
স্পষ্ট উচ্চারন করতে হবে
তাতে করে নাকি অনেক নাম হবে;
বাবা-মা শিখিয়েছিলেন
সত্য কথা বলতে
তাতে করে নাকি, মানুষ হয়ে উঠবো!!


অনেক কষ্টে স্পষ্ট উচ্চারনে
অভ্যস্ত আমি
অভিজ্ঞতার ভারে ভারাক্রান্ত, দেখি চোখ খুলে
আমি’র জায়গায় গবেট দেখা মেলে
কৌশলী হতে না পারার তকমা লাগে কপালে
শ্রমফল যায় বিফলে
মানুষের অবয়ব থাকে না আমলে
নিজেকে দেখি, সত্য উচ্চারনের দায়ভারের শেকলে।


অস্পষ্ট উচ্চারনের
সুবিধে অনেক;
না বোঝার দন্ত হাসি মেলে
আড়ষ্টতা থাকে পিলে চমকে দিলে
মিউ মিউ করা বিড়াল গুলো চাদরের তলে
আড়াল করা ইচ্ছেগুলো চলে হেলে দুলে
সালামের জবাবে ব্যাস্ত আমি, তখন ‘কলা গাছ আঙুল ফুলে’।


বই পড়া শিক্ষা, গুরুজনের দীক্ষা
বাস্তবতায় মেলে না, আছে অনেক সমীক্ষা;
যে দেবতা যে ফুলে তুষ্ট
একটাই মূল মন্ত্র ‘সন্তুষ্ট’
ভুল শিক্ষায় জীবন পার
কে নেবে স্পষ্ট উচ্চারনের দায়ভার?
কে নেবে ‘মানুষ’ হবার দায়ভার?


অগাস্ট ১৭, ২০১৮
মিরপুর, ঢাকা