চৌষট্টি কলায় পারদর্শি।


কপালের ফেরে, ফাঁকা এক ঘরে, তুই মুই আর মদিরার গেলাস দুই।
আনন্দের উচ্ছাসে, মদিরা্র আবেশে, নেঁচে নেঁচে কভু বসি কভু শুই।
মাদকতার ঘোরে, তুমি গেলে শাওয়ারে, ধৌত করলে হাত মুখ চুল।
মুখে ফোটা ফোটা জল, যেন মোতি অবিকল, আমার দেখার কি ভুল।
অবাক নয়নে, দেখি মুখ পানে, ভাবি তুমি মানবি! না ক’নো প্রতিমা।
দুলকি চালে এসে, মুচকি হাঁসি হেসে, জড়ালে এমন যেন মধু-চন্দ্রিমা।
বিদেশি লিকারে, ছিল কি রসায়নী যাদু, নাকি তোমার শারীরি বিকার!
কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে, অনুচ্চ আওয়াজে, ব’লে ছিলে গোপন অভিসার।
হ’য়েছিলে মাত-ওয়ারা, মদিরা-রশে, করে ছিলে নিজেকে সমর্পণ।
অজানা সেই আবেশে, সল্প-বসনে, তোমার ছিলনা ক’নো নিয়ন্ত্রণ।
দুটি হাতের জোরে, বিছানায় টেনে নিলে মোরে, উন্মুক্ত বক্ষের পরে।
তোমার ঘন ঘন স্বাস, আমি করি হাঁস ফাঁস, নেশা তো ধরেনি মোরে।
লাল লাল চোখে, গোলাপী দুই ঠোঁটে, টল মল পা আবেগ বাধাহীন।
পনেরতেই এই গড়ণ, আঠারোতে হবে কি ধরন, নিয়ন্ত্রণে থাকা ছিল কঠিন।
অক্ষত তোমার যৌবনে, পারিনি আঘাত হানতে, অভিলাষ ছিল সীমাহীন।
নিঃশর্ত সমর্পণে, বিহ্বল ছিলাম মনে মনে, বিবেকের কষাঘাত ছিল অন্তহীন।
তোমার মনের গভীরে, গোপন ক’নো কুটিরে, সাজান ছিল যে গৃহাঙ্গন।
আমি করে ছিলাম পণ, তোমার যে গৃহাঙ্গন, সেটাই হ’বে আমার ভুবন।
তুমি ফুল হয়ে ফুটলে, ভ্রমরের দল জোটালে, করলে আমায় তেপান্তর পার।
সেই ফুলের সুবাসে, ভ্রমর ঘোরে চারি পাশে, চটকে বুঁদ তুমি আমি কোন ছার।
তুমি চৌষট্টি কলায় পারদর্শি, আমি যে অদূরদর্শি, দাগলে বাণ আমার পরে।
এক সুজগেই দিলে ছেঁটে ফেলে, মুছে দিলে মন থেকে………
সারা জীবনের তরে…….।