খুন খেকো জানোয়ার।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।


অরাজকতা, ধর্মান্ধতা, কলুষতা, বেকারত্বের আর্তনাদ।
উলঙ্গ হাতকে করে হাতিয়ার, করতে চাই প্রতিবাদ।
অসহিষ্ণুতার বিবস্ত্র রূপ, যেন খুন খেকো জানোয়ার।
উঠুক সমালোচনার ঝড়, যেতে হয় হোক কারাগার।
অত্যাচারীর নখ, দাঁত, রক্তে রাঙ্গা, হস্তে মুক্ত তলোয়ার।
দেখছে সবাই, প্রতিবাদী কেউ কেউ, সব-ই যেন অসার।
অন্ধ হলে হতনা দেখতে, দেখে চোখ বুজে থাকা কঠিন।
চাটুকার মিডিয়ার পদলেহনে, বিরোধীরা ও সব দিশাহীন।
শাসকের পরোক্ষ সমর্থনে, প্রকাশ্যে চলছে লুঠতরাজ।
কেন দৈনের দায়ে দাঁড়িয়ে লাইনে, মনে প্রশ্ন জাগে আজ।
শোষণের কৌশলে দক্ষ রাজনেতা, ক্ষমতাই এখন শেষ কথা।
ভোটের টানে, একবার-ই যেতে হয়, হাসিল করতে ক্ষমতা।
ভোটের ক্ষমতা বোঝেনা জনতা, কাজ কি অত শত খোঁজে।
পেলো তো ভাল, না পেলে বয়েই গেল, সহে সব চোখ বুজে।
উঠলেই প্রতিবাদ, যায় যায় রব, ব্যালট এলেই সব ভুলে যায়।
যাঁতার যন্ত্রণা জেনেও জনতা, যাঁতার কাছেই ঘুরপাক খায়।
হিসাবের কিছু নেই তো বালাই, গরীবের ব্যথা কি নেতা জানে।
রোদ জলে গরীবরা থাকুক, নেতারা আছেন টকশো-র মাঝখানে।
কলের চাকা ঘুরলে বন বন, কাদের নিয়ে করবে পোদ্দারি।
বন্ধ তাই বুঝি পাশ ফেল প্রথা, কল-কারখানা সারি সারি।
এমনি করেই জাতিটা হয়ত, ধীরে ধীরে হয়ে যাবে শেষ।
নেতারা হয়ত বিদেশে বসে, বলবেন বাহ্ বাহ্ বেশ বেশ।
ঘুরে সবাইকে দাঁড়াতেই হবে, ধ্বংস হবার আগে সব কিছু।
উঠুক আওয়াজ যেভাবেই হোক, শেষ হবার আগে সব কিছু।
একলা নয়, একলা নয়, একলার নামে কোন অজুহাত নয়।
মনের জোরে করলে প্রচেষ্টা, এই জগতে অসম্ভব কিছুই নয়।
মহঃ আলি কামার, সূধা চন্দন, পঙ্গু হয়েও জয় করেছে বিশ্বকে।
পণ হোক শিশুদের বাসযোগ্য করে যাব, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে।