লকডাউন ও দ্বি-চারীতা


সব চোখকে দিয়ে ফাঁকি, রাত দুপুরে উড়ছে বিমান।
দেশকে করে তালাবন্দি, মহাশয় কাকে বাঁচাতে চান?
শিশু কাঁধে হাঁটছে শ্রমিক, হাঁটতে হাঁটতে মরছে শ্রমিক।
বাঁচার আশায় হাঁটছে শ্রমিক, ক্ষুৎ পিপাসায় মরছে শ্রমিক।
শ্রমিক চেপে বাই সাইকেলে, অচেনা পথে বেরিয়ে পড়ে।
ক্ষুধায় কাতর মায়ের কোলে, শিশু কেঁদে ঘুমিয়ে পড়ে।
বাজার খোলা ঝুঁকি পূর্ণ, খুলেছে তাই মদের দোকান।
সব চোরের-ই ঝোলা পূর্ণ, শ্রমিকের বন্ধ সব ইনকাম।
কোভিড ভয় উপেক্ষা করে, দাঁড়িয়ে যারা মদের দোকানে।
জামাতি দেখলে ভয় করে, কোভিড আসে কি মদের লাইনে।
মদে তো আছে এ্যালকোহল, মদে কি আর করোনা আসে?
যে যা বলুক আবোল তাবোল,  রাজস্ব আসছে রাজকোষে।
গ্রামের যুবকরা রুজির দায়ে, শহর মুখি হয় বাঁচার তরে।
শ্রমের বিনিময়ে পয়সা মাগে, বাঁচতে সবাই খেয়ে পরে।
লকডাউন ভেঙ্গে পথে এলে, রাসায়নিক স্প্রে ও লাঠি চলে।
এন আর আই দের আনবে বলে, বিশেষ ভাবে বিমান চলে।
বিদেশি রাষ্ট্রপতিকে নমস্তে করতে লক্ষ লোকের জমায়েত চলে।
গরিবী ঢাকতে পাঁচিল চলে, রাজধানিতে দাঙ্গা চলে আগুন জ্বলে।
সরকার গড়তে অধিবেশন চলে, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান ও চলে।
আটটা বাজতেই টিভিতে এলে, দেশে তালা মারলে করোনা বলে।
পুলিশের ভরসায় তালা বন্দি, পরিকল্পনার নাইতো বালাই।
গদিতে থাকার ফিকির ফন্দি, প্রশ্ন আসার আগেই পালায়।
কোভিড ঘুরে এলো জগৎ ময়, পায়নি জায়গা তার হয়নি ঠাঁই।
ভারতে এসেই মুসলিম হয়, মুসলিম দের থেকে সাবধান ভাই।
চাটুকারিতায় মিডিয়া নিজেকে, ষষ্ঠাঙ্গ দণ্ডাবত করেছে পেশ।
বাজারি করেছে নিজেই নিজেকে, লজ্জার আর কি বা অবশেষ।