এক অসহায় মায়ের হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা তুলে ধরতে চেষ্টা করলাম যেটা আমাদের দেশের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে কিছু দিন আগে ঘটেছিল এবং আমাকে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছিল। আপনার মন্তব্য আশা করি।


নির্মম মানবতা।
সেখ নাসিম আহাম্মাদ।


বিধ্বস্ত বিক্ষত শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলনা।
অন্তরাঘাতে জ্বলে খাক আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন ভবিষ্যত।  
বিধ্বস্ত তুমি ক্ষোভ অভিমান দ্রোহে সন্তান হারানোর বেদনায়;
সর্বস্ব হারালে যার জন্য, সেই খুশি আর তোমায় “মা” ডাকবেনা।
ডাক্তার-নামী ভগবান দেশবাসী-কে দিলেন নারী-দিবসের দিনে
নারী-জাতিকে দুর্মূল্য উপহার।
পৃথিবীর কোন শুভ-বুদ্ধি সম্পন্ন বিবেক বান মানুষের সাধ্য নাই
তোমার চোখে চোখ রেখে বলবে, কি ঘটে ছিল বা শুনতে চাইবে
তোমার অভিযোগ কি? মুক বধির সমাজ
আত্মকেন্দ্রিকতায় মজে; ভ্রুক্ষেপ নাই কোন কিছুই।
হয়তো বুঝতে-ও পারছনা কার অপরাধে আজ তোমার কোল শূন্য।
আসল অপরাধী কে? ডাক্তার! রাষ্ট্রশক্তি! না অধুনা সমাজ।
তোমার নুয়ে পড়া রক্তিম চোখ যেথা আর কোন অশ্রু নেই
অর্থাভাবে যে চোখ অর্থপিশাচ ডাক্তার দের নির্দয়তায়
অপারেশন টেবিল থেকে পেট চিরে ফিরিয়ে দেওয়া শিশু কন্যার
কাৎরাতে কাৎরাতে করুণ মৃত্যু দেখেছে।
তুমি না তাদের খুনি প্রমাণ করতে পারবে না সমাজ কে;
তোমার চোখের রক্ত বমিতে ভেসে গেলেও না।
দুর্যোগে দেখেছি প্লাটফর্মে ক্ষুৎ পিপাসায় মৃত মায়ের
আঁচল সরিয়ে শিশুর দুধ পানের প্রচেষ্টা ও মা মা আর্তনাদ
তখনও জাগেনি মৃত সমাজ ও আমাদের বিবেক।
থামাও তোমার আঁখির রক্ত ক্ষরণ, জ্বালাও প্রতিবাদী আগুন,
উলঙ্গ করে দাও ওদের মুখোশ, ভস্ম করে দাও বিবেকহীন নতশির,
বুকে আনো ঝাঁসির রাণীর জোশ দ্রোহানলে ধ্বংস করে দাও সব।
ভক্ত প্রহ্লাদের মত পেট চিরে নাড়ি ভুঁড়ি বের করে
রণদা মূর্তি ধারণ করো যেমন করে তোমার নিষ্পাপ
সন্তানের পেট চিরে স্বার্থ লোভে ফিরিয়ে দিয়েছিল তার নিথর দেহ।
আতঙ্কে যদি জাগে আমাদের বিবেক।
10/03/2021