ফুলের রানী গোলাপ কলি, তার সহেলি যুঁই চামেলি,
শুধায় ওরে খাম খেয়ালী, তোর পরাণ পাখি কই?  
নদীর পাড়ে আশুদ শাখে,
তোমার নিশান আমায় ডাকে।
তুমি বিনা মন মানেনা, তাই উদাস বসে রই।
তুমি-ই আমার জীবন বীণা, প্রাণের প্রিয় সই।


ভাটার টানে নৌকা ভাসে, নানা রঙের পাল।
জীবন তরী ছুটছে বেগে, কে ধরবে হাল?
হাঁটতে যখন কলস কাঁখে,
দেখতো সবাই চোরা চোখে,
হঠাৎ আমার দুষ্টুমিতে, তোমার মুখটা হতো লাল।
বলতে ক্ষেপে কপট রাগে, আসবো না আর কাল।


ফেরার পথে সোহাগ ভরে, আদরে খেতে চুমা।
দুই বাহুতে জাপটে ধরে, মাগতে আবার ক্ষমা।
দিবা রাতি তোমায় দেখি,
তুমি আমার সন্ধারতি,
স্বপন চূড়ায় উঠছি বেয়ে, উঠতে উঠতে নামা।
তোমার সুরেই গান গেয়েছি, গাইতে গাইতে থামা।


যখন তুমি আপন ঘোরে, শোনাতে মনের কথা।
মাঝে মাঝেই উদাস মনে, হারিয়ে যেতে কোথা।
কি হয়েছে বলো সখা!
কেন তুমি দাওনা দেখা?
শোনাও তোমার সব বেদনা, একবার এসে হেথা।
চাই শুনতে আগের মতই, তোমার বুকের ব্যথা।


জেলেনি বৌ খোঁজে তোমায়, নাইতে এসে ঘাটে।
ফুচকা ওয়ালা আজও আসে, নদী পাশের মাঠে।
রোজ প্রতীক্ষায় থাকি বসে,
আর আসনা গাছের পাশে,
দিন গড়াল, বিকাল হলো, সূর্যি গেলো পাটে,
নূপুরের আর পাইনা আওয়াজ, আশুদ তলার ঘাটে।


আমি যদি যাই গো চলে, লাগত কেমন আশুদ তলে।
বুকের ভিতর আগুন জ্বলে, তবু পাইনা দেখা সই।
পরাণে মোর আর সহেনা
বিরহে দিন আর কাটেনা,
তোমার পরশ আজও মেলে, আশুদ তলে গেলে।
মনের কথা মন মানেনা, তাই একলাই বসে রই।
                                          তুমি আমার
                                         প্রাণ প্রিয় সই।