শুরুতেই শুনি শেষের কবিতা, ছন্দ হারাই যে মাঝ পথে।
ভাবছি এবার কৃপণ হয়ে, উঠবো তোমারই স্বর্ণ রথে।


লিখতে গিয়ে অকুল- পাথার, শুধুই হারিয়ে ফেলি ভাষা।
তাই না বলা সব কথাগুলো আজ, মনে করেছে যে বাসা।


কত সহজেই লিখে ফেলি শেষ, সময়ও নি অল্প।
তবু কেন কিছুতে মেলাতে পারিনা , নিজের খাতার গল্প।


নিঝুম রাতে একান্তে আজও, কেন খুঁজি একাকীত্ব।
সব পেয়েও কেন জানি না, তবুও ফাঁকা ই এই চিত্ত।


ছুটছি জানিনা কিসের পেছনে, জানি সেটাও যে নিরাকার।
পাবোনা জেনেও তবু কেন মন, করে এতো হাহাকার।


মোহে তে তার বুঁদ হয়ে আমি, হারিয়ে ফেলেছি কুল ।
জানি একদিন দেবো আমি ঠিকই, এর বিশাল এক মাসুল।


আনমনা হয়ে কেন হাতরাই, না পাওয়া কে যে আমি আজ।
জানিনা, সূর্যোদয়ই কেন আমি খুঁজি, সূর্যাস্তের রাঙা সাজ।


সব কিছু কেই মানিয়ে যে নিয়ে, ভুলেছি করতে যে প্রতিবাদ।
সকলে বলছে, কেমন মানুষ, তুমি হয়ে গেছ উন্মাদ।


ভুলেছি আমি সময়ের সাথে, নিজেরই পথের শেষ।
তবু শত চেষ্টায় কেন কাটছে না আজও, ওই ঘটনার রেশ।


এলোমেলো সব হিসাব যে আজ, ভুল হয়ে যায় শেষে।
অনিবার্যও দুহাত মেলে যে, সামনে দাঁড়িয়ে ছদ্মবেশে।


নীল দরিয়ার অন্ত খুঁজছি, কূলে দাঁড়িয়ে যে আজ একা।
অস্তিত্বের অসম সমরে, এতো নতুন করে যে শেখা।


সন্তুষ্টিও পাইনা কিছুতে, যেন সব হারানোর ভয়ে থাকি,
মনকে বুঝিয়ে সময় থাকতে, তাইতো সামলে রাখি।


হারাতে চাইনা বলেই হয়তো, নিজেকে বদলে ফেলা।
হার মেনে নিয়ে বসে আমি আজ, কিন্তু শুরুই হয়নি খেলা।


মাঝ আকাশের পানে চেয়ে থাকি রোজ, শান্তি পাই যে নীলে।
ছন্দ মিলিয়ে ভুল হয়ে যায়, শুধুই না চাওয়া অন্ত মিলে।


আমি যেথা আজ ক্লান্ত পথিক, জীবন সেথা যৌবনও।
আর জীবন যেথা অসীম-অতল, আমি আজ সেথা ঘরকুনো।


এই ঘরকুনো হয়েই হারিয়েছি আজ, নিজের মনের সত্তা।
বলার আছে কত কিছু আজ, তবু আমি যে নীরব বক্তা।


বলা না বলার, পাওয়া না পাওয়ার, শুধু জাগছে যে মনে ভয়।
জানিনা এই ভয় কে ভুলতে, লাগবে ঠিক কতটা যে স‌ময়।


সান্ত্বনা নয় শান্তি চাই, জীবনেতে আমি যে আজ।
কপট কথনে, ভুলবো না আর, আর না চাই ভণ্ড সাজ।


তাই আমিত্বকে ভুলে, সকলের সাথে রাস্তায় আজ আমি।
জীবনের হিসাব ! সে আজ থাক, ও ঠিকই করবেন অন্তর্যামী।