কবিঃ কি গো? আমার বউয়ের ;
মনটা এতো বিষণ্ণতায় ভরা কেন?
শরৎ আসলো
হাসিলো শিউলি ফুল
তবুও আমার বউয়ের মাঝে
নাই কেন ফুলের বকুল।


শিউলিঃ শুধু বাহিরে দেখলেই হয়
মাঝে মাঝে একটু
ঘরের দিকেও তাকাতে হয়।


কবিঃ ঘরে তো দেখছি বটে
কালো মেঘে ভর করেছে
এই একটু পর ঝড় আসলো বলে।


শিউলিঃ ঝড় আসবেনা; আসবেটা কি? [ ক্ষেপে গিয়ে ]
দেরী হবে ,
একটা ফোন করলে হয়টা কি?
নাকি কোনো পিরিত আছে?
বসে থাকো কোনো রমনী নিয়ে।


কবিঃ ঝড় আসিবে [ বাহিরে দেখিয়ে ]
আসতে দাও
জানালাটা দাও খুলে
তবে খুলো নাকো দরজাটা।
ঢুকে পড়বে চোর - ডাকাত
কেঁটে যাবে কানটা।


শিউলিঃ শুনবো না কোনো অজুহাত
খুলে দিব সব কয়টা ।
আসুক তবে, দেখি কেমন করে?
ঘরে রেখে রমনী
বাহিরে কারে করে সতিনী।


কবিঃ বাঝে তুমি বকো না
ঝড় আসলে হবে কি?
তা কি তুমি জানো না?
রাখবে না বাকি সবর্নাশের
তাকি তুমি বুঝো না।


শিউলিঃ সবর্নাশের আর বাকি কি? [ কেঁদে ]
ঝড় আসবে আসুক না
হাতে আছে ঝাটাটা
দেখি আসে কোন সতিনী
ভাঙ্গতে আমার ঘরটি।


কবিঃ আরে তুমি কাঁদছো কেন?
আরে তুমি রাগছ কেন?
আমি কি তা বলেছি?
তুমি না আমার
শরৎতের শিউলি ফুল।
তুমি আছো হৃদয়ের মাঝে
আসতে দিব না অন্য কাউকে।
আসবে শুধু শরৎকালে
শিউলি আমার হৃদয়ের মাঝে।


শিউলিঃ হয়েছে – হয়েছে ,বলেছো মেলা
আমি জানি [ চোখ মুছতে মুছতে ]
আমার প্রতি;
তোমার কত অবহেলা ।


কবিঃ করো না তুমি রাগ
দেখ ধরেছি আমি নাক । [ নাক ধরে ]
হবে না আর দেরী
আসবো এবার বাড়ি
আসবো খুব তাড়াতাড়ি।


শিউলিঃ হয়েছে ছাড় [ হালকা অভিমান আর ন্যাকা ন্যাকা করে ]
হতে হবে না আর
ভাল মানুষ বড়।


কবিঃ এবার তবে একটু হাসো
একটু কাছে আসো
দেখি আমায়;
কেমন ভালবাস?


শিউলিঃ দেখতে হবে না আর [ দুষ্ট হেসে ]
কাঁদিয়ে আবার আদর সোহাগ
আমার অনেক কাজ
হবে তা;
থাকলে তোমার কাছে ।
ছাড় যাই এবার।


কবিঃ এতো নিষ্ঠুর হলে হবে
আসো না একটু কাছে। [ শিউলির হাত ধরে টান ]


শিউলিঃ ছাড় ! ছাড়!!
আমি নাই দুষ্ট
লোকের কাছে - পাছে।


[ শিউলির সইচ্ছায় পতন কবি বুকে ]