স্কুল পাড়ার মোড়ে
খুঁজেছি তোমায় অনেক করে
খুঁজেছি তোমায় অগ্নিশিখার মোড়ে
কিন্তু কোথায় তুমি?
পেলাম না কোথাও।
যখন তুমি দাড়াঁতে
স্কুল পথের ওপারে
কিনবা চায়ের দোকানে
চায়ে দিয়ে চুমুক, ফুঁকতে-ফুঁকতে সিগারেট
তাকিয়ে থাকতে স্কুলের জানালায়।
হচ্ছিল ইচ্ছে
দু'টো কান ধরে
ঠাশ-ঠাশ করে
মারি তোমার গালে
তবে হবে শান্তি এই মনে।
আজ বড় হাসি পায়
মন ভরে যায় বিষাদে
কতই না খুজেঁছি তোমায়
খুজেঁছি কতখানে !
কিভাবে তুমি এত নিষ্ঠুর হলে?
আজ আমার মন করে অনুতাপন
সেদিন যদি ওদের
মারতে করতাম মানা
আজ অপরাধবোধ দিত না
আমার মনে হানা।
তারপরও তো
এসেছিলে দু’দিন পর
দৌঁড়ে ছিলে কতক্ষণ!
আমার রিক্সার পিছন
ভাবলে আজ………!
সেদিন তুমি বোধহয়
করেছিলে খুব রাগ
যেদিন তোমার সাদা শার্টে
দিয়েছিলাম ঢেলে ফুঁচকার টক
আজ আবার ও দিতে ইচ্ছে করে।
আজ বড় ইচ্ছে হয়
শ্রাবণ মাসের বিকেলে
তোমার পাশে বসে
রিক্সায় ঘুরতে সারা শহর।
অনেকের কাছে করেছি জিজ্ঞাষা
চায়ের দোকানে,ঝালমুড়ি ওয়ালার কাছে
তুমি খেলতে যে বাচ্চাদের সাথে
কিন্তু কেউ দিতে পারেনি
তোমার হদিস।
পরে অনেক কেদেঁছি
তোমার কথা ভেবে
অনেক দিয়েছে গালি
তুমি আসনি বলে
আমার বড্ড অবাক লাগে
পারলে তুমি থাকতে?
আমার সাথে রাগ করে ।
২
বয়স আজ ষাট ছুঁই- ছুঁই করে
আজও তোমায় দেখতে
বড়ই ইচ্ছে করে
কোথায় পাব তোমায়?
তবুও মন স্বপ্ন দেখে।
শুনেছি তুমি করোনি বিয়ে
অভিমানে নাকি অপেক্ষাতে?
কিসের আশায় ?
বেধেঁছিলে বাসা
পুড়লেও বা কেন সেই বাসা?
বাচঁবো আর ক’দিন?
বইবোই বা আর ক’দিন?
এই অভিশপ্ত জীবন।
এখন শুধু প্রতীক্ষা
কবে হবে এই জীবনের শেষ টিকা।
প্রতিটি ক্ষণে
তাকিয়ে আকাশ পানে
খুঁজেছি তোমার নয়ন
যা করত প্রত্যাশা
আমার নয়ন মাঝে।
পথে বাচ্চারা
যখন করে খেলাধুলা
তাদের মাঝেও খুজেঁ তোমায়
কিন্তু না……
পাই নাই কোনো বেলায়।
হাঁটিতে পারিনা বাতে
ছেলে- মেয়েদের হাত ধরে
যাই ডাক্তারের কাছে
তখনও আমার আঁখি
খোঁজে তোমায় পথে।
যখন বেলকিনিতে বসে
পড়ি সমরেশের “ এই আমি রেণু”
তখন তোমার চিঠির কথা
বড্ড মনে পড়ে
ভুলবো না আমি চিঠির শেষ কথা।
তোমার প্রিয় সেই
রবীন্দ্রনাথের “একরাত্রী”
আমি আজও পড়ি
পড়ে তোমায় মনে করি
গল্পের মাঝে।
শুনেছি তুমি এসেছো দেশে
একটু সময় হবে কি কবি'র?
তোমার মতন বিখ্যাত লোকের
গরীবের মঞ্জিলে।
আমার একটি কথা ছিল
তোমায় বলব-বলব করে
খুঁজে খুঁজে গেল
কত সময় পার হয়ে!
হবে কি তোমার সময়?
শুনতে আমার শেষ কথা ।
۞মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম রণি