শিশিরভেজা মিষ্টি দূর্বার অনুভূতি তুমি।
ছোট্ট শিশুর আনন্দমাখা চাঞ্চল্য তুমি,
কেকের উপর জাপটে থাকা দুষ্টু ক্রিম তুমি।
স্নিগ্ধজলে স্নান করা তাজা পদ্ম তুমি।
আঁখি দেখে মনে হয় বয়ে গেছে নদী।
হাসি যেন বাড়িয়ে দেয় চাঞ্চল্যের গতি,
কেশগুলো বাহ! বাহ! বেশ ঘনকালো
চেয়ে ঐ চোখপানে হারাই মগ্ন আলো।
আড়চোখে তাকিয়ে, মুখে রেখে হাসি
আড়ালে মনে মনে বলি ভালোবাসি?
চঞ্চল-দুষ্টু রেশম মেঘকালো চুলগুচ্ছ;
হাওয়ায় মুখ-চুম্বন করে বাড়ায় সৌন্দর্য।
একটু লাজুক হাসি মুখে শান্তি যোগায়
আর একটু হাসি কবিকে উন্মাদ বানায়,
আর একটা হাসি মনে চাঞ্চল্য বাড়ায়
রূপে তোমার ডুবে আজি জগৎ ভোলায়।
ওষ্ঠ যেন রক্ত রাঙা গোলাপ-পাপড়ি,
অথবা লাল টুকটুকে যুবতী আপেল,
চাইলে তোমার রুপ মহুয়ায় এক মুহুর্ত
যুবরাই নয় বুড়োও হবে ভুলুন্ঠিত
বুড়োরাও বলবে তুমি অপরুপ অনিন্দ্য।
মাসাল্লাহ সূ-নন্দন চেহারা লাবণ্য।
দয়াময় দিয়েছে তোমায় রূপ,
রূপতো নয় যেন হিরাজ্জল কূপ।
কত রূপ তোমার আমিতো মুগ্ধ
হৃদয়ও কি এমনই পবিত্র?
ঠাই পাবো কি হৃদপুরিতে?
পারবে কি সেটা বলতে?
হে অনামিকা বসে সুদুরে একা,
অদেখা তবুও হৃদয়ে তুমি লিখা।
ভালোবাসি ভালোবাসি খুব বেশি,
শুধু তোমাকে বলতে চাই আজি,
তোমাকেই খুব ভালোবাসি।।


=========