কানের একদম পাশ দিয়ে শব্দ করে যাচ্ছে অবাধ্য বর্ষণ।
টিপটিপ শব্দে যে খুচরো মাধুর্য্য তৈরি হয়,
সেটাকে বিক্রি করে আমি নুপুর কিনেছি তোমার জন্য।
নুপুরটা নাকি দুপুরটা জানি না,
আমাকে পিপাসার্ত করছে।
একটা ঘোলাটে জলের আরেকটা ঘোলাটে মেঘের।
আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকায়,
আমি চারিদিকে অসহায় বৈশাখকে দেখতে পাই,
যার আমাকে দেবার জন্য পেয়ালা ভর্তি পানি ছাড়া কিছুই নেই, নিঃসঙ্গতাও না।
ফেলে আসা বৈশাখে তোমার চোখের প্রথম কাজল টা আমি পড়িয়ে দিয়েছিলাম,
খুবই সন্তর্পণে।
তখন তোমাকে একটি পরিপাটি মুকুল লাগতো,
আমি সারাদিন ছুঁয়ে বসে থাকতাম।
কিন্তু ঐ যে বৈশাখের অসহায়ত্বের সুযোগে আমাকে যে নিঃসঙ্গতা দিলে..
সেটা আমার পরিপাটি বিকেলে কাটানো মুহুর্তটাকে ভাসিয়ে তোলে।
আজ এই শুভ্রতার রজনীতে বর্ষণ ও থেমে গেছে মেঘের অভিমানে,
আবারো একলা করে ভাসিয়ে নিচ্ছে আমায় দূরন্ত পরকালে,
যেভাবে কালকের ভোরে রাস্তায় একটি মৃত পাতা পাওয়া যাবে,
তোমাকে ছায়া দিতে গিয়ে যে ঝড়ে পড়েছিল।
=======