পর্দা হলো শরয়ী পোশাক অন্তরে ভয় রবের,
পর্দা শুধু নয়রে পোশাক খামখেয়ালী  মনের।
পর্দা হলো রণসজ্জা সমরে হুংকার,
পর্দা হলো জান্নাতী সাজ মুমিন অহংকার।
পর্দা করেন ইউসুফ নবী জোলেখার-ই সনে,
সংগোপনের আহ্বানে দাগ কাটেনি মনে।
পর্দা করেন মুমিন নারী ছুঁয়েনিতো তা পাপ,
শরয়ী বিধান দৃঢ় ঈমান জীবন চলার ধাপ।
পর্দার নামে চলছে ফ্যাশন আকর্ষণের রীতি,
রঙবেরঙের বোরকা হিজাব বেড়ে দিলো ভীতি।
ছদ্মবেশী পোশাকধারীর জমছে যেনার হাট,
জ্ঞানপাপীরা পর্দা বলে করছে গরম মাঠ।
সংশয়বাদী বিষফোঁড়ারদল তথ্যসন্ত্রাস ছেড়ে,
অসৎ লোকের কর্মগুলো চাপছে মুমিন ঘাড়ে।
বস্তুবাদের শিক্ষানীতি চলছে ভোগের প্রীতি,
গড়ছে ভোগের পতিতালয় সহশিক্ষার নীতি।
মানুষ তৈরির প্রলোভনে গড়ছে পশুর জাত,
অমানুষে ভরছে স্বদেশ নামছে আঁধার রাত।
চলচ্চিত্র গান নাটকে অবাধ প্রেমের দীক্ষা,
পর্নমুভি পার্ক হোটেলে ব্যবহারিক শিক্ষা।
উজান গাঙ্গের অথৈ পানি ভেলাবিহীন জাতি,
বানটি ছেড়ে করলে ধ্বংস নৈতিকতার ছাতি।
শেয়াল ধর্ম মোরগ ধরা মমকে গলায় আগুন,
অবাধে সব মেলামেশায় কেমনে আসে ফাগুন?
বর্ষাকালে পুকুর বিলে উতলে উঠে পানি,
সুখের ঘরের কৈটি খোঁজে আরো সুখের খনি।
মুক্তমনে ছুটছে তবে অধিক সুখের আশায়,
উঠে আসার পথটি ধরে মানুষ নিলো বাসায়।
নারীবাদের মোহে পড়ে অবাধ্ সুখের  আশায়,
সুখের ঘরের কৈয়্যা নারী উঠছে পরের বাসায়।
জাতের ভেতর অজাতের বীজ ঢুকছে ঘরে ঘরে,
বংশগুলো খাচ্ছে ঘুণে যা টের পাবিরে পরে।
বাসগৃহতে লাগলে আগুন ঢালতে হয়রে বারি,
বিপরীতে ভস্ম গৃহে তুই প্যাট্রল দিলি ছাড়ি।
জাতির যৌবন হচ্ছে ছাই অনলেতে পুড়ি,
নৈতিকতার অবক্ষয়ে যৌনতার সুড়সুড়ি।
চোখ ঝলসানো রূপদূষণ মনোজগতের রোগ,
রূপ সাগরে অবগাহন করছো শরীর ভোগ।
পিষে দিলে জাতির মনের আধ্যাত্মিকতার বীজ,
জ্যোতিবিহীন শূন্য হৃদয়ে আজ শয়তানে গিজগিজ।
ধর্ষণের-ই মহামারীতে আজ করলে জাতি শেষ,
ও পাপীরদল কেন বলিস তবে এগুচ্ছেতো দেশ?
আত্মঘাতী নীতি তোদের ধর্ষক প্রতি ঘরে,
বাঁচবিনা কেউ রক্ষে নেইরে ধর্ষণগতির ঝড়ে।
মুনাফিকে দেশ ভরেছে খোদার বিধান বারণ,
মনগড়া সব তন্ত্রে মন্ত্রে চলছে দেশের শাসন।
পর্দা জবের ফাঁদ পেতেছে বিনোদনের নামে,
ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে ভেতর-বাহির শ্যামে।
ধ্বংসস্তূপে নিত্যোল্লাসে ভোগবাদীদের সাজে,
এসো মুমিন ফুলফুটাবো নামবো দ্বীনের কাজে।
দৃপ্ত শপথ দৃঢ় ঈমানে গর্জে উঠো আজ,  
তাগুত টুটে আনবো ধরায় খিলাফতের রাজ।


========