রক্তধারার স্বজনতা কেবল জৈবনিক সূত্রে লিখিত এক রুদ্রলিপি;
সম্পর্কের আসল ভূমিকায় দাঁড়ায় সময়—
মানুষ যখন বিপন্ন সংকটসূর্যের তপ্ত ছায়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়ে, তৎক্ষণাৎ এক অবিচলিত সত্তা নিঃশব্দে পাশে এসে দাঁড়ায়,
আর তখনই সৃষ্টি হয় অকাট্য আপনতা, অঙ্গাঙ্গীন ও অপরাহ্নহীন।
সেই আপনতা কোনো গোষ্ঠীয় রক্তকোষের আটকা নয়;
এটি এক ধ্রুব আনুগত্য—
মরুপ্রান্তের মরীচিকার মতো নয়,
বরং দুর্বিষহ ঝড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বত্থের গভীরমূল।
যে হাতে থাকে ঔদার্য, সেই হাতে থাকে পরিত্রাণ;
যে বক্ষে থাকে সহমর্মণের শৈথিল্য,
সেই বক্ষই জাগায় জীর্ণ চেতনবিন্দুর নবায়ন।
তাই সম্পর্ককে শুধু বংশগৌরবে মৃগমরণ কোরো না;
সময়-দগ্ধ প্রহরে যে কাঁধে নির্ভরতার ভার প্রসারিত হয়,
সেই কাঁধ, সেই নির্ভরতার অক্ষই—
নিঃশর্ত আপনতার সর্বশেষ প্রতীকি স্তম্ভ।
=========