যেখানে এসে সকল সৌন্দর্যের পরিসম্পাপ্তি ঘটে,
যেই মোহনায় এসে রুপেরা একত্রিত হয়,
সেটাই আমার চাঁদের বুড়ি।


এরচেয়ে রুপবতী নারী দেখেনি কোন চোখ,
কল্পনা করে নি কোন হৃদয়।
হ্যা!  দুনিয়ার সৌন্দর্যের পুর্ণতা এখানেই।


তাকে কেউ যদি ভুল করেও এক পলক দেখে থাকে,
এই ''পলক'' আর পিছু ছাড়বে না।
কুড়ে খাবে সারাজীবন।
কেড়ে নিবে রাতের ঘুম,
হয়ে যাবে দিনের চিন্তার উপকরণ।


তার কথানালার তীর-কামানে বিন্ধ যে হয়েছে যে হৃদয়
সে ক্ষতের রক্ত ক্ষরণ হয়তো থাকবে আজীবন।
সেই মিষ্টি বুলি প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে
প্রতিদিন কর্ণকোহরে।
শিহরিত করে যাবে, আবেগ আর অনুভুতির পাপড়িতে।
কখনো ভ্রমর হয়ে গান শুনাবে,
আবার কখনো মৌমাছি হয়ে হুল ফোটাবে।


আর সেই মুক্ত ঝরানো হাসি!!!
একযুগ পরেও কানে ভাসে সে হাসির মিষ্টি আওয়াজ।
আর যখন সে হাসির দৃশ্য যখন সামনে আসে।
মন সমুদ্রের সাইক্লোণ সিডর ধেয়ে আসে।
খেয়ালীপনায় হারিয়ে যাই গভীর সমুদ্রে।
কোথা থেকে কোথায় ভেসে যাই
হায়রে হায়! হায়।
এ হাসি যে জীবনে মাত্র একবার দেখেছে
তার মন সমুদ্রে আজীবনই চলবে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত।


আর সেই মায়াভারা মুখখানি!
আহা! আহ!
শত পেরেশান মানুষ যদি একবার দেখে
পেরেশানী এসিড ক্ষারের মত বিক্রিয়া করে পানি হয়ে যাবে।


তার হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য,
আর পিছনের ফিরে দেখে আরেক দুষ্ট হাসি,
মানুষকে হত্যার করার জন্য কোন পারমানবিকের চেয়ে কম নয়।


আজ জীবনে যদি আন্দদায়ক কিছু থেকে থাকে
তা শুধু তারই স্মৃতি!!