১) চারজন  


জ্যেঠু : চোখের ধর্মই ভেদাভেদ দেখা।
পিসি : দুই চোখ দুই রকম দেখে না, দেখে একই রকম।
মামা : ভেদাভেদে বিশ্বাস করি না, তবু ঘিরে রাখি এলাকা।
মেসো : দুই চোখ সমান দেখে, তাই এক চোখ কখনো মজা করেও বন্ধ করতে নেই।


২) ডাব


পথের ধরে দাঁড়িয়ে ডাব খাচ্ছিলাম।
পথের শিশু এসে হাত নাড়লো।
ডাবওয়ালা তাকে অস্ত্র দেখিয়ে তাড়িয়ে দিলো।  
ডাবের জলে দেখলাম ভেসে উঠেছে বঞ্চনার মুখ।
প্রথম হতে গেলে দ্বিতীয়কে বঞ্চিত করতে হয়।
দ্বিতীয় হতে গেলে তৃতীয়কে বঞ্চিত করতে হয়।
এইভাবে বঞ্চিত করতে করতেই মানুষ বড় হয়।
কথা হল, নিজেকে বঞ্চিত না করে, অপরকে কখনোই বঞ্চিত করা যায় না।
তাই আমি বঞ্চিত।
সে বঞ্চিত হয়েও বঞ্চিত নয়।
ডাবের জল শেষ হতেই হারিয়ে গেল আমিত্ব।


৩) গতি


ট্রেন ধরবে বলে সে ছুটলো।
নইলে আবার আধ ঘণ্টা বাদে ট্রেন।
সময়ের সাথে দৌড়াও, ক্ষতি নেই।
সময়ের পিছু নাও, ক্ষতি নেই।
সময়ের কাছে থেমে যাও, কিসের ক্ষতি!
কিন্তু সময়ের থেকে আগে কিভাবে যাবে?
ছেলেটা দারুণ অসুস্থ বোধ করছিলো।


৪) দেহরক্ষী


'এই খাবারটা আমাকে খেতে দিয়েছে,
তুমি আগে খেয়ে বলো যে ওতে বিষ আছে কিনা'।


দেহরক্ষীর এটাই কাজ।
অথচ দু জনেই মানুষ।
দুজনের শরীরেই লাল রক্ত।
তবু দুজনের জীবনের এক মূল্য নয়!
কেন?
জীবনকে দিয়ে জীবনকে মাপা হয় না,
মাপা হয় টাকা ও ক্ষমতা দিয়ে।