দুজন বেঁধেছিলেন ঘর-
মনের গভীরে ছিল বিপুল আশা।
এক বছর পর ঘর আলো করে এল পুত্র সন্তান-
মা বাবার একমাত্র ভরসা।


শত অপমান দীর্ঘশ্বাস হয়ে পড়তো সন্তানের বুকে!
জবাব দেবে একদিন: বুক ফুলিয়ে কাঁদত সে।
প্রদীপের শিখায় উজ্জ্বল তার মুখ,
যখন পুরো ঘর অন্ধকারে ভাসে!


সোনার চামচ মুখে তার....
দুটি প্রাণ অথৈ জলে বুদবুদ কাটে!
লক্ষ্মীর ঘট ফাঁকা থাকলেও,
মাঙ্গলিক এঁকেছেন ঈশ্বর সন্তানের ঘটে!


ত্রিশ বছর পর ওনাদের দরজায় লক্ষ্মী এসে দাঁড়ালেন!
লক্ষ্মী এখন সন্তানের আরেক নাম...
অপমান রং বদলে মর্যাদা হয়ে দেখা দেয়।
ঈশ্বরের প্রভার থেকেও স্বর্ণকারের অঢেল দাম!


চিরকাল কেউ দুঃখ করে না-
দুঃখ আছে মানেই সুখ এসে দেখা দেবেই
কারণ দুঃখ হল সুখের সারথি।
আজ শক্ত মাটির উপর দাঁড়িয়েছেন পরিবার, জীবন সংগ্রামে একদিন যারা পেতেন না খেই।