ছেলেটা দার্শনিক-
বিজ্ঞান পড়ে অথচ লেখে কবিতা-
ওর লেখা আর থামে না।
সময়ের সাথে সাথে ও লিখে চলে গোটা পৃথিবী।


ওর মা বাবা মনেপ্রাণে চায় ও বিজ্ঞানী হোক।
বিজ্ঞান পড়াতে খরচ লাগে।
কিন্তু দার্শনিককে মেরে কখনো বিজ্ঞানীকে বাঁচানো যায় না।
জীবন যে দিকে টানে,
সেই দিকেই তো যাবে মানুষ।
জীবনকে কে চালায় আমার জানা নেই,
তবে জীবনের নির্দেশ না শুনলেই,
সে তোমাকে আমাকে সোজা নিয়ে যাবে চাকার তলায়।


ছেলেটা নিষ্ঠা ভাবে কাজ করে যায়-
সারাদিন বিজ্ঞান পড়ে,
ঘুমোতে যাওয়ার আগে কবিতা লেখে।
কবিতা না লিখে ও নিশ্চিন্তে ঘুমোতেই পারে না
কারণ ও ভালোভাবেই জানে যে
কবিতা না লিখে ও যদি ঘুমোতে যায়
ও পরের দিন আর ঘুম থেকে উঠবে না।
ঘুম থেকে যদি ও না উঠতে পারে,
তাহলে আর ওর বিজ্ঞান পড়া হবে না।


ওর মা বাবা ওকে বোঝে,
তাই ওর স্বাধীন চিন্তায় আঘাত করে না।
ছেলেটা এগিয়ে চলে জীবনের আঁকা-বাঁকা পথে।