মানুষ আসা যাওয়া করে নানান ভাবে।
পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, গাড়িতে, বাসে বা ট্রেনে।
মা দুর্গার আসা যাওয়ার নীতি সম্পূর্ণ আলাদা-
কখনও গজ, কখনও ঘোড়া, কখনও নৌকা, কখনও দোলা :
কীভাবে আসেন বা যান বাহন সিংহকে নিয়ে আমার জানা নেই।


মহাকালের নিয়মে এই আকালের দিনগুলোতে
মা আসবেন ও যাবেন যথা সময়েই।
এবার ঘোড়ায় আগমন
ও দোলায় গমন।
ঘোড়ার এলে মরক লাগে।
অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যু।
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে।
করোনার ভিড়েই হট্টগোল।
দোলায় গমন কালে মা দুলিয়ে দিয়ে যাবেন ধরা।
ভূকম্পন না লকডাউন
সেটা সঠিক ভাবে জানি না ।


পুজোর দিনগুলো আনন্দের।
বাচ্চা থেকে বুড়ো, বুড়ো থেকে বাচ্চা;
ধনী থেকে গরীব, গরীব থেকে ধনী;
পণ্ডিত থেকে চণ্ডাল, চণ্ডাল থেকে পণ্ডিত;
হিন্দু থেকে মুসলমান, মুসলমান থেকে হিন্দু;
শাসক থেকে বঞ্চিত, বঞ্চিত থেকে শাসক...
সবার পুজো দুর্গা পুজো।
আনন্দে আত্মহারা হলেই বিপদ।
আনন্দই দুঃখকে টেনে নিয়ে আসে।


মা দুর্গার মুখে মুখোশ, হাতে স্যানিটাইজার-
বাঁচার তাগিদে জাগ্রত বিবেক।
সিংহ বাঁচার আর্তনাদ।
ত্রিশূল অর্থে টিকার দু দুটো ডোজ।
মহিষাসুর করোনা।
অজানা জ্বর রক্তবীজ।
তৃতীয় ঢেউ শুম্ভ ও নিশুম্ভ একত্রে।
মানুষ কখনও বলির পাঁঠা হতে পারে না,
বলির পাঁঠা বন্টন ব্যবস্থা।
শিব তাহলে কে?
একটু ভাবুন...
মানুষের আত্মভোলা মন।
দুর্গাশক্তি জেগে উঠুক,
শিবশক্তি ধ্যান মগ্ন হোক!