বাবা চেয়েছিলেন ছেলে ডাক্তারি পড়ুক।
কিন্তু ছেলেটার মাথায় কী সব হাবিজাবি চিন্তা।
ও মেয়েদের মতো আর্টস পড়লো।
মেয়েদেরকে ও মোটেই ভালোবাসতো না-
ছেলেদের মধ্যে খুঁজতো নিজের রূপ।
নিজের জীবনের প্রতি ঘৃণাও ছিল-
বাবা পাঠালেন পাগলাগারদে।
হাবিজাবি চিন্তা সারাদিন মাথায়।
এক মুখে নানা মুখোশ-
আন্দোলন ঘরে বাইরে, খাতায় কলমে, জীবনে মরণে।
বিপ্লবের মৃত্যু নেই, মানুষ মারা গেলেও।
লিখলেন-
জ্ঞানের ইতিহাস,
ক্ষমতার ইতিহাস,
খুনের ইতিহাস,
শাস্তির ইতিহাস...
হাবিজাবি চিন্তাগুলো আইন হয়ে গেল।
সমাজ বললো, 'দার্শনিক'।
সব দর্শনিকই পাগল
কিন্তু সব পাগল দার্শনিক নয়!
ইস্কুলে সবার হোম টাস্ক করে দেওয়া কেবলা ছেলেটা
তামাম বিশ্বের সব থেকে বড় পণ্ডিত...
বিপ্লবের মতো দর্শনও অমর-
বিপ্লব হর ও দর্শন গৌরী...
বিপ্লবীর মৃত্যু হয় রক্তে,
দার্শনিক মারা গেলেন রক্তের অসুখে।