তপ্ত মরুর ক্লান্ত উট যেমন চায় মরুদ্যানের জীবন রস,
বৃষ্টি ভেজা কাক যেমন চায় সুনিশ্চিত ছাউনি,
দুরন্ত শীতে কৃষ্ণ কালো সর্প কুন্ডলী পাকিয়ে যেমন পেতে চায় উষ্ণতার উত্তাপ...
ঠিক তেমনই আমি চাই তোমাদের!

তোমরা আমার-
শৈশব কালে রচনা করেছিলে সমৃদ্ধির সোপান,
কৈশোরকে বেঁধেছিলে শৃঙ্খলতার মায়াজালে,
যৈবনকে ভাসিয়েছিলে অনুপ্রেরণার আলোয়,
মধ্যবয়সের অনন্ত নীলাকাশের রবি শশী,
বার্ধক্যের বারাণসীর হর গৌরী...


তোমরা-
এই মরা গাঙে এনেছ জীবন জোয়ার,
এই মরা গাছে ধরিয়েছ বসন্তের মুকুল,
এই মরা ভূমিকে দিয়েছো সোনার ধানের সফলতা,
এই মরা জীবনকে দিয়েছো প্রাণের আলোর রোশনাই,
এই মরা যাপনকে ভরিয়েছ কোকিলের সুমধুর কুহুতে...


আমি নতজানু সৈনিকের মতো তোমাদেরকে জানাই
অন্তরের অনন্ত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা,
যা সীমান্তের বীরেরাও মাতৃভূমিকে দেখাতে পারেনি!


কোটি কোটি সৌর জগতের থেকেও
আকার আয়তনে বড় এ ঋণ,
যা স্বয়ং ঈশ্বরও শোধ করতে অপারগ |


তোমাদের কোমল স্পর্শ এ হৃদয় কমলকে
মৃদু আন্দোলিত করে বাতাস না থাকা সত্ত্বেও...