আমি একজনকে চোখের দেখা দেখতে গেছিলাম-
যাকে বলে সম্বন্ধ হওয়ার প্রথম ধাপ।
মেয়েটি বোঝেনি কেন আমি এসেছি?
তাকে স্পর্শ করেনি প্রাণের উত্তাপ!


মেয়ের মা বাবা অনেকদিন ধরে আমার খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন।
মা বললেন, 'চল একবার দেখে আসি'।
বাবা বললেন, 'মেয়েটি দেখতে শুনতে ভালো'।
সব শুনে আমি একগাল হাসি।


মেয়ের মা বাবার আমাকে ভালো লেগেছে।
মেয়েকেও আমার পছন্দ হয়েছে বেশ।
ওনারা বললেন, সামনের মাসে আমাদের বাড়ি আসবেন,
কিন্তু এলেন কই- খরা কবলিত সবুজ দেশ!


পরে জানলাম সব কথা-
মেয়েটির মন উড়ছে বিশ্বকর্মা পুজোর ঘুড়ির মতো!
আমি খাঁটি সোনা কিনা তা যাচাই করতে চায়!
স্বাধীনচেতা অভিমানিনী নাটক করছে কত...


মা বললেন, 'আর এগোনো সমীচীন হবে না'।
বাবা বললেন, 'অল্প বয়েসে পাকলে যা হয়'।
ওর মা বাবা মনে হয় মেয়ের কোথায় চলেন।
ছেলেটার জীবন কেমনে হবে নয়ছয়!


স্বাধীনচেতা হওয়া ভলো-
স্বাধীন ভাবে সকলেই বাঁচতে চায়।
স্বেচ্ছাচারিতা বড়ই সাংঘাতিক-
এতে দাম্পত্যের সঞ্চিত বরফ অযথা জল হয়ে গলে যায়।  


সব মানুষের হৃদয় না থাক,
মন বলে একটা বস্তু আছে বৈকি!
কারণে অকারণে আঘাত লাগতে বাধ্য
কিন্তু ফুল ছুঁড়ে মারলে কজনে জ্ঞান হারায় দেখি!


দিল্লীর লাড্ডু খেতে হবে শুনে
আমার গা ছমছম করে মাঝেমাঝে!
আবার লাড্ডু না খেয়েও উপায় নেই...
ভাবলে বুকের ভিতর করুণ সানাইটা সুর করে বাজে!