কয়লার একটা ছোট্ট টুকরো পাওয়া গেল খনি থেকে-
সেটা কাটতেই হীরের আলো ঠিকরে বেরিয়ে এল:
সেই আলো গ্রাস করে নিল বিশ্বচরাচরের শত অন্ধকার,
জ্বালিয়ে ছাই করে দিল দুঃখ যত...
চোখ ধাঁধিয়ে গেল শয়তানের-
মুক্তি এসেছে, দেরি কোরো না- জাগো, ওঠো |


২৭ বছর পর তুমি গুহা থেকে বেরিয়ে এলে
পশুরাজ সিংহের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে |
তোমার হৃদয়ে তখন সূর্যের মতো জ্বলছে
সেই অমর আইনজীবীর উজ্জ্বল অস্তিত্ব |
তুমি হেরে যাও নি-
তার মানে সেই রাষ্ট্রের জন্ম হবেই হবে:
যেখানে ধান মাপা হয় সোনার দামে,
অশিক্ষার অন্ধকার কবরে ঘুমোয়,
নারীর মান ঝর্ণার জলের মতো বয়ে চলে,
শিশুদের মুখ দিয়ে গড়িয়ে পরে দুধ,
ভাই ভাইকে আলিঙ্গন করে বেঁধে রাখে,
অসুস্থ, অসহায়, অজ্ঞাত মানুষের দল
ফুল হয়ে ফুটে থাকে দেবালয়ের বাগানে...


এই বিশ্বচরাচর হল স্বর্গ,
এই আইন অবিনশ্বর,
এই আইনজীবীই সূর্য |


২৭ বছর পর তুমি মুক্তি পেলে |
মহানের মুখে মহাত্মার নাম শুনলো গোটা বিশ্ব-
যেমন মহালয়ের ভোরে জেগে ওঠে মর্ত্যলোক |


গণতন্ত্রে ব্যক্তি পুজো করাটা পাপ-
এখানে মানুষই ঈশ্বর, মানব সেবাই প্রকৃত পুজো |
ধর্মকে রাজনীতির আঙিনায় আনতে নেই
কিন্তু প্রকৃত ধার্মিক রাজনীতিকেই গ্রহণ করেন
কারণ তাছাড়া আইন অমান্য করা যায় না |


বিশ্ব যত দিন আছে,
আইন থাকবে আর সূর্যের মতো জ্বলবেন
সেই আইনজীবী | তোমার বুকে জ্বলবে সেই সূর্য:
অন্ধকার থেকে আফ্রিকা বেরিয়ে আসবে
মশাল হাতে তথাকথিত সভ্য বিশ্বের দরবারে |
সাদা মানুষের লোভের অস্তিত্ব আফ্রিকার হিংস্র পশুদের থেকেও নোংরা,
কিন্তু কালো মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসই হবে আগামী বিশ্বের ফুরফুরে হওয়া!