১) শুভ বিজয়া


মেয়ে বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যাওয়ার পরে,
মেয়ের বাড়ি যেমন স্তব্ধ হয়ে যায়-
পূজার মণ্ডপে ঠিক তেমনই নিস্তব্ধতা।
এখানে মন কাঁদে,
চোখ কাঁদে না।
এখানে হৃদয় কথা বলে,
মুখ কথা বলে না।
আনন্দে মিষ্টি মুখ,
বিষাদে চোখ ঝাপসা।
একটাই প্রেরণা- পরের বছর আবার হবে
অথবা মা আবার আসবেন।
কিন্তু মেয়ে একবার পর হয়ে গেলে আর আপন হয় না,
ঘুরতে আসে কিন্তু আর ফিরে আসে না।


২) শ্রী


দৈত্য গুরু, শুক্র
মহাদেবের কাছ থেকে পেয়েছিলেন সঞ্জীবনী বিদ্যা।
তার অপপ্রয়োগ করলেন দেবতাদেরই বিরুদ্ধে।
যার পাতে খেলেন, ফুটো করলেন তার পাতই।


'শ্রী'কে কেউ অধিকার করতে পারে না,
তাকে বিশ্বাস করে বেঁধে রাখতে হয়।
এই বিশ্বাস লুকিয়ে আছে
সততায়, সাত্ত্বিক ভাবনায়, শুদ্ধতায় ও সকল শুচিতায়।  
এই বিশ্বাসের জন্ম সুখ ও শান্তির অনুপ্রেরণায়।


অসুর কুলে বিশ্বাস নেই।
তাই শুক্র 'শ্রী'কে আজীবন বেঁধে রাখতে পারেন নি।
'শ্রী'কে স্বর্গেই মানায়, পাতালে নয়।
পাতালে বাস করেন অলক্ষ্মী।
স্বর্গে 'শ্রী' ফিরতেই ক্লান্ত দেবতাগণ শক্তি ফিরে পান।
অসুরের বিনাশ হয়।


শুক্রকে মহাদেব গ্রাস করেন।