সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় সবকিছু।
দশ বছর আগে এখানে ছিল বস্তি,
এখন পাকা রাস্তা।
মানুষ গুলো কোথায় কে জানে!
আদৌ বেঁচে আছে কিনা কে জানে!
বেঁচে থাকলে কেমন আছে?
সভ্যতা সে প্রশ্নের উত্তর জানে না,
অথচ সে সময়ের সাথে এগিয়ে চলে!


এমন কত বদল এসেছে।
যেমন ঐ বহুতল ফ্ল্যাটটা দেখছেন যেখানে,
সেখানে একটা খেলার মাঠ ছিল।
বাচ্চারা খেলতো রোজ বিকেলে কুমীর ডাঙা।
একদিন একটা কুমীর এসে সব বাচ্চা গুলোকে খেয়ে ফেলল
আর প্রগতি নামক সেই কুমীরটাকে মেরে ফেলল
উন্নয়ন নামক প্রোমোটার।  
জীবন থেকে খেলা মুছে গেল,
পড়ে রইল শুধু ছেলেখেলা।


এমন কত বদল এসেছে মানুষের মনে।
ধুতির বদলে এসেছে প্যান্ট,
শাড়ির বদলে এসেছে জিন্স।
বাংলার সাথে মিশেছে ইংরেজি,
ইংরেজি এখন ইংরেজদের ভাষা নয়, সকলের ভাষা।
বদলেছে সম্পর্ক রাখা, না রাখার হেতু ও ফল।


কিন্তু কী বদলায়নি বলতে পারেন?
যে বস্তির লোকেদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অবস্থা,
যে বাচ্চা গুলোকে কুমীর খেয়ে নিল, তাদের মুক্তি,
যে ধুতি ও শাড়ি ফেলে দেওয়া হল, সেগুলোর ব্যবহার,
যে ভাষা মিশে গেল, তার আত্মপরিচয়,
যে সম্পর্ক চলে গেল, তার মূল্য...


আমিও বদলেছি বাইরে, অন্তরে সেই একই প্রশ্ন,
এ বদল কী শক্ত মাটিতে দাঁড়াবার কারণে
নিজের অস্তিত্বকে না চিনতে পারার কোনও কৌশল!