১) কথা বলা


সকলে ঠিক মতো কথা বলতে পারে না।
এর কোনও পাঠ নেই।
শব্দ জন্মায় হৃদয়ের অন্তরে
ও তার প্রয়োগ জাগে বহমান মনের অলিন্দে।
শব্দের জন্ম ও জাগরণ কার হাতে কে জানে!
যেমন হাজার কবিতা পড়েও
কেউ একটা কবিতা লিখতে পারে না
অথবা একটা কবিতা পড়েই
কেউ হাজার কবিতা লিখে ফেলে।
চালাক মানুষ মুখ বন্ধ রাখে।
এ ছাড়া উপায় কী!
বেশি পাত্তা না দেওয়াই ভালো।
কথা বলতে পারো না, মুখ নেই,
চুপ করে থাকো।
বোবা মনে মনে হাসে আর ভাবে,
জগতে আমিই সব থেকে চালাক!


২) নিজস্ব


মানুষ যার হাত ধরে বেঁচে থাকে,
তার নাম নিজস্ব।
নিজস্ব ছাড়া আর কারো হাত ধরে বাঁচা যায় না।
মা বাবার হাত ধরে চিরকাল বাঁচা দায়,
প্রেমিকাও বদলায়,
বন্ধু বিশ্বাসযোগ্য নয়,
সংসারে অশান্তি কী এড়ানো যায়...


সব মানুষ আজ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত।
স্বার্থপরতা ও আত্মপোলব্ধি পাশাপাশি খেলে।
প্রথমটা নিজেকে ভালোবাসা
আর দ্বিতীয়টা নিজেকে বিশ্বাস করা।
এর মধ্যে খারাপ কী!


সবাইকে নিয়েই চলবো,
তবে স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে।


৩) মনের কথা


এ যুগে মন মুখ এক হলেই বিপদ।
মনের কথা মনেই থাক
আর মুখের কথা মুখে।


করোকে চিনতে না দেওয়া তুমি কী!
শুধু মুখ বুজে কর্তব্য করে যাও,
যাতে কেউ খারাপ না বলে।


মনের কথা মনেই থাক।
মনের ব্যথা মনেই থাক।
তোমার মনের মানুষ,
তোমারই গোটা অস্তিত্ব।
তোমার মনের মতো বন্ধু চাই,
হৃদয়কে খুঁজে আনো।