১)


ধন যার পেটে, সে কুবের।
পেটে ধন রাখলে পেটের আকার বেমানান লাগে।
তার পেটের ধন আমার ঘরে আসবে।
হাজার মানামানি।
আচ্ছা বলুনতো কটা গরীব বড়লোক হয়,
অথচ বড়লোকের পেট বাড়তেই থাকে।
সমাজে বেমানান হয় গরীব।
বড়লোকের ঠাঁই সিংহাসনে।
আসুন, ধন কুবেরদের ধন বিলিয়ে দিই আসমুদ্রহিমাচল-
কারো ভুঁড়ি থাকবে না এইটুকু বলতে পারি-
যে সমাজে ভুঁড়ি নেই, সেই সমাজে ব্ল্যাক মার্কেটও নেই।


২)


ধন রাখতে গেলে আগে অলক্ষ্মী বিদায় করা দরকার।
যে স্থান নোংরা, সেই স্থানে লক্ষ্মী থাকেন না,
তাই সেখানে ধন রাখার কোনও প্রশ্নই আসে না।
ধন যে রাখে, তার মন মোটেই পরিষ্কার নয়-
যে উদার সে কেবল বিদ্যা রাখে নিজের সাথে।
একমাত্র বিদ্যাকেই সারা বিশ্বে পুজো করা হয়।
লক্ষ্মীর স্থান ঘরে হলেও,
অলক্ষ্মীর স্থান মনে।
তাই ধনের ধর্ম কখনোই সাম্য নয়-
সে সাম্য বিনাশ করে।
যে সমাজে সাম্য নেই, সেই সমাজ অলক্ষ্মীতে ভরা।


৩)


শতাব্দীর শেষ অন্ধকার একটা দেশলাই দূর করে দিতে পারে।
হাজার প্রদীপ জ্বেলে পাড়া আলোকিত হয়
কিন্তু হৃদয় নয়।
আসুন হৃদয়ের অন্ধকার দূর করি-
জ্বালি মনের দেশলাই।
যত অন্ধকার দেখছেন, বাইরের নয়,
সবই ভিতরের।
সকল মানুষ যদি সঠিক পথে চলে,
তাহলে ভূত প্রেত থাকে না।
মানুষ বেঠিক বলেই ভূত প্রেত
আমার আপনার বাড়িতে এসে হানা দেয়।
প্রাণের আলো দোকানে বিক্রি হয় না,
তাই তা কেনাও যায় না।
মা বলেন, 'জাগো, জেগে ঘুমিও না'।    


৪)


বোন যদি ভাইকে ফোঁটা দেয়,
ভাইয়ের উচিত বোনকে বারো মাস রক্ষা করা।
কেবল মাতৃপূজা করলেই বোনেদের হাহাকার মিটবে না।
বোন না বাঁচলে,
ভাইও বাঁচবে না।
তাই ভাইয়ের দীর্ঘায়ু যে বোন কামনা করে,
তারও ভাইয়ের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার জন্মায়।
মা বোনেরা সব একই জাতি।
প্রত্যেক ভাইয়ের সাথে প্রত্যেক বোনও বাঁচুক-
বাঁচুক সমাজ, বাঁচুক বিশ্ব।
প্রতি বছরের এই বন্ধনই বাঁচিয়ে রেখেছে পুজো পাঠের এই উৎসব।
এই উৎসব ভাই বোনের উৎসব।
সব শেষে বলে রাখি-
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বোন মেটাক ও
বোনে বোনে ঝগড়া ভাই মেটাক।