#  পোষাক ও 'পকসো' #
     (কবিতা)


পোশাকের পোষাকী নাম 'আবরণ'
লজ্জার অবগুন্ঠন...
সাথে, ত্বক্ রক্ষা করে চলে সর্বক্ষণ।


মানুষ ছাড়া...
প্রায় সব পশুপাখির সমস্ত শরীর
থাকে ঢাকা পালক, লোম বা মোটা ছালে
যা স্থায়ী...পরিবর্তন করা যায় না !!
লেগে থাকে গায়ে আমৃত্যু, একই হালে
ওটাই বাঁধা পোষাক সবার, জঙ্গলমহলে।


একমাত্র জীব মানুষ
চামড়া ঢাকে আলাদা হরেক পোষাকে,
ইচ্ছেমত খুলে, হতে পারে সম্পূর্ণ নগ্ন
ইতর-জনে করে...
"স্কিন-টু-স্কিন-টাচ"-এ যৌন উৎপীড়ন
যা চরম অন্যায়-অত্যাচার...জঘন্য !!


নিত্য-নূতন, নানান আকার ও রংয়ের
নক্সা-পোষাকে বাড়ায় যৌন আবেদন,
বেআব্রু চামড়ার নিত্যনতুন প্রসাধনে
তীব্রতর করে !! উগ্রযৌন আকর্ষণ।


পরিনামে যা ঘটার তাই ঘটছে অবিরাম,
শুধুই আদালতের সাধ্য নয়
ঠেকানো যৌনতার এই ভয়াবহ পরিনাম।


পরিস্থিতি সামাল দিতে 'পকসো' আইনে
আদালতের সম্প্রতিক রায় অতি উদার !!
ত্বক না ছুঁয়ে, পোষাকের উপর দিয়ে--
যাবে করা,  ইচ্ছেমত যৌন অত্যাচার !!
হবে না দন্ড, হবে না আইনি বিচার !!


পশুরা ডেরায় থাকে করে ঘেঁষাঘেঁষি,
অশ্লীলতা হয়না--
যখন ওরা করে যথেচ্ছ গা-ঘষাঘষি।


ফিরে এলো সমাজে অরণ্যের শাসন !!
তবে, ওরা উত্কৃষ্ট  মানুষের থেকে
কারন, পশু করেনা মানুষের মত ধর্ষণ।


যৌনতাকে মানুষ এখন করেছে পণ্য !!
যৌনতার হয়েছে বাণিজ্যিকীকরণ
তাই দিকেদিকে এত ব্যভিচার !...জঘন্য।


মানুষই পারে করতে এই অন্যায়ের সমাধান
যদি...
সব জনগন হয়, যৌন-সংযত ভদ্র সন্তান।


সবাই জানে...
ঘরে জলের কল জোরে খুলে রেখে
যায় না মোছা মেঝে...শুকনো করে !!
*********************************
সুব্রত ভৌমিক ২০১০২০২১ কোল-৭৫
**********************************
তথ্য নির্ভরে...'পকসো' (pocso) আইনে
আদালতের রায়, জানু-২০২১
(pocso...protection of children
from sexual offence)
**********************************