বিষাক্ত  রক্তের  ঢেউ
সময়ের  অতিবাহিত  জীবনে
এক জোড়া  সোনালী  কবুতরের  পায়চারির
সামনে  একটি  তাজা হরিণের মাংস
ছিড়ে  নিলো হিংস্র বাঘের থাবা ;
উত্তপ্ত রক্তের গতিপথে
নিয়মের বলয়ে ক্ষুন্ন হয়নি
জানোয়ারদের  বিষাক্ত নখ
দাতের ত্রিকোনমিতিতে !


গগনের তীব্র আলোর মধ্যে অথবা
পড়ন্ত বিকেলের ছায়ায়  পরিতৃপ্ত  হয়
কবুতরের পালক,মাংস, হাড়
হৃপিন্ডের রক্তনালী
আহারের তীব্র সুখ  ঘুমিয়ে পড়েছে  পাকস্থলীতে ;
বিষাক্ত পাথরের আস্তরণ  যেন
বার্লিন প্রাচীরের দেয়াল
ছেয়ে নিয়েছে
বাংলার সবুজ গ্রাম,পথ,  মাঠ, ঘাট  !


রাখাল গরু  নিয়ে ঠাঁই  দাড়িয়ে আছে
উৎকন্ঠা ভরা চোখে !


ইতিহাসের  সাদা পৃষ্ঠায়
প্রতিদিন লিখবো  বলে
ঘুমের অলসতায়
জেগে ঘুমিয়ে থাকি;
কি সুন্দর বাস্তবতা  
এখন কবুতরের জীবন !


হাতে বন্দুক নিয়ে
একটি দুটি  বুলেটে
বিদ্ধ করে দিতে পারে
সোনালী কবুতরকে
কি চমৎকার   পারছি !


গণতন্ত্রের  নল আজ
তাক করে আছে
কবুতরের দিকে ;
কি অচেনা আতঙ্কে
ঠিক মত উড়তে  পারছে না
কবুতর জোড়া
দানাপানি  ছেড়ে  
মৃত্যু অনশন করছে
ভবিতব্য  কালের দর্পণতলে!


রাষ্ট্রপ্রধান
ঢোল পিটিয়ে বললেন,
কবুতর জোড়ার
রক্তমাখা মাথা এনে
দিতে পারলেই
সোনালী চাঁদ তারা মার্কা
মেডেল দিবেন !
হন্তদন্ত হ'য়ে
আমলারা পুরস্কারের পলকা নেশায়
বুঁদ হলেন
অতঃপর
এক জোড়া কবুতরের জন্য
খেতাব পেলেন
'পায়রা  খেতাব'
এভাবেই কবুতরের  রক্ত নিয়ে
সুখী  হয়
বাঙালি  জনগোষ্ঠীর এক অংশ !


মেঘদূত
২৪/১০/১৩
মতলব উত্তর, চাঁদপুর ।