লেনিনের গ্রন্থাগার ভাবনা
আমার মগজে বিস্ময় দেয়
আমার চেতনাকে নিয়ে খেলা করে
এ যেন বৃষ্টি ঝরা ফুলকলি
ঘুমের অদ্ভুত সময়ে
আচমকা জেগে উঠে ভাবি
লেনিন রণক্ষেত্রে ও ভাবতেন
কিভাবে ইসক্রার সমন্বয় ঘটানো যায়
বিস্তর পাণ্ডুলিপিতে !
আমাদের নেতারা ভাবেন
কিভাবে মুমূর্ষু জনগণের সম্পদ ক্রোক করে
প্যারাডাইস পেপার করা যায়;
বুলেটের দলিত চাঁপে
হুংকারের তীব্র ঝঙ্কারে
গুম হয় আমাদের নগেন কাকু
এমনি করে আমাদের নেতারা
বিশ্বজিৎ এর রক্ত নেয়
আজাদকে মেরে ফেলা হয়
কয়েকটি কোপে!
আমাদের নেতারা কলমী বিদ্যায় নাক ফোলান
অথচ কখনো তাদের বিবেকলেশ মন
একটি সার্বজনীন গ্রন্থাগার তৈরি করার কথা ভাবেনি !
আমরা স্বভাবত মূর্খ জাতি
কেননা নেতাদের অপরিচ্ছন্ন পা চেটে
পরিষ্কার করে আনন্দ পাই
অথবা পদোন্নতি আর অর্থের গন্ধ
শুঁকতে শুঁকতে মরে যাই নতুবা
পেনশন পেয়ে সুন্দর সময় কাঁটাই !
একটি জাতি খাটি মূর্খতার পরিচয়
তখন-ই দেয়
যখন তার সংস্কৃতি ভুলে
বিকৃত রুচিতে অভ্যস্ত হয়
আমরা হচ্ছি দশ কেজি দুধের
বিশ কেজি জল !
হায়! আমাদের দুর্ভাগ্য
নেতারা যদি লেনিনের মতো
গ্রন্থাগার করার চিন্তা করতেন
তাহলে অস্ত্র কেনা বা
পারমানবিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে
দশ লক্ষ তাজা প্রাণ দিতে
হতো না অযথা !
মেঘদূত
১৮/০১/১৬ ইং
মিরপুর-১০, ঢাকা।