তোমার আকাশ ভরাট বৃত্তের মতো আঁধারে
অনাকাঙ্ক্ষিত আলো
আর প্রভাতের মৃদু রশ্মি
আমার খসখসে চামড়ার ভিটামিন !


তোমার দীপ্যমান অভিরুচির দিকে তাকালে
গীতি কবিতার মতো
চোখ অবলীলায় ক্ষান্ত বর্ষণ দেয়
নির্লিপ্ত অভিমানে !


মলাটে থাকা তত্ত্বের ভেদ, রহস্যের জাল
যাদুর মতো
দর্শনের পিঠে
দেয়াল ঠেকিয়ে
চর্বণ করি জিহ্বার স্বাদ !


তোমার চোখে, মুখে
উজ্জ্বল নক্ষত্রের মিঠে আলো
বাতাসের রেখায় ভেসে ভেসে
মেঘ ছুঁয় কথোপকথন
আর আমার মজ্জাগত  কল্পনা
অলস দুপুরে  কেঁড়ে  নেয়
ভাত ঘুম !


তোমার বিনয়ী  মগজের পাতায় পাতায়
আমার আঙ্গুলে রাখা
গ্রাফাইটের কালো ছাঁপে
ভরে উঠে উর্বর ফসল ;
সেই ফসলের ভার নিতে গিয়ে দেখি
ভুলে ভরা আমার জীবনে
তুমি-ই তৃষ্ণার্ত জল !  


উৎসর্গ : সলিমুল্লাহ খান স্যারকে
( যিনি আমার সাক্ষাৎ শিক্ষক নন অথচ আমি তার ছাত্র বলে মনে করি।  কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যা ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষক তাকেই বলা যায় যিনি একটি নতুন স্বপ্ন দেখাতে পারেন বা একটি নতুন শব্দ শেখাতে পারেন। আমি জানি একটি নতুন শব্দ মনের বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম ! স্যার প্রতিদিনই সেই চেষ্টা করছেন। তার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক আঁধারের গায়ে গায়ে । )


মেঘদূত
২৮/০৭/২১ ইং
বনানী, ঢাকা ।