শুনো ঐ পূর্ব দিগন্তে মিলিটারির শোষিত ধমক
নির্যাতন,নিপীড়নের ধ্বনির প্রতিধ্বনির চমক।
আঘাত এনেছিল বাঙালি মায়ের হৃদে-মুখে
টগবগে তরুণ রাজপথে সোচ্চার প্রতিবাদে।


প্লেকার্ড,ফেস্টুন হস্তে শৌর্যবীর্য তরুণ পরলোকে;
নেত্রবারির সমুদ্রে তরঙ্গের ঢেউ বাংলা মায়ের।
ফুটেছিল বসন্তের ফুল; ফাল্গুনের হাওয়ায়
জননী পেয়েছে ঐতিহ্য; সন্তানহারা এক মা।


পলাশ,কৃষ্ণচূড়ার রাঙানো চিলতে হাসির রাজ্যে
মাধবীলতা কনকচাঁপা আর স্বর্নলতা
দেবকাঞ্চন মেলেছে পাপড়ি স্বকীয়তা।
      ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা
    অর্জনে মোদের বাংলাভাষা।
বায়ান্নর ফাগুনমাস ছিল মুখরিত চারপাশ
শুঁকেছি ঘ্রাণ,ফুটেনি ফুল জুঁই আর বকুল।
সালাম,জব্বার কেন প্রাণ দিয়েছেন এতে?
কেন হয়না প্রস্ফুটিত একুশে কুরচি পারিজাত?


আমরা বাঙলা মায়ের প্রতিবাদী সন্তান;
হৃদয়ে ধারণ করি আগুনের লেলিহান,
আমরা শেরে বাংলার লড়াকু উন্মাদ।
আমরা ভাসানীর তেজারতি রেশমপথিক;
আমরা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ স্পন্দমান সৈনিক
ধারন করি বুকে শহীদ জিয়ার অমর স্মৃতি
আমরা ভাষার কাঙালি, আমরা বাঙালি।


স্বাধীন বাংলাদেশের জয়ধ্বনি হয়নি ভারতে
একুশে বাজে হিন্দি গান ভোরের প্রভাতে।
আলতাফ মাহমুদ করেছেন কি দোষ এতে?
কত গান কত সুর আর একটি আবেদন
শুনা যায় কি পথে প্রান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে?


একুশ মানে বস্তা পচা হিন্দি গান নয়;
একুশ মানে আলতাফ মাহমুদের স্বর,
একুশ মানে সাতচল্লিশের পাক ভারত নয়
একুশ মানে একাত্তরের বাংলাদেশ।
একুশ মানে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
একুশ মানে চুয়ান্নর সংশোধনী সংবিধান
একুশ মানে  শ্রদ্ধার্ঘ্যে নগ্নপদে ফুল অর্পণ
একুশ মানে সবুজ বাংলার ভিতর লাল বৃত্ত।