দৃষ্টিপাত করেছি বেলকনির ঐ প্রকোষ্ঠ দিয়ে,
লোচনে অর্যমাময় আভার তীব্র প্রতিবাদে।
তাকিয়ে রইলাম আমি ঐ অত্যুগ্র জ্যাম চত্ত্বরে,
মৌমাছির ভিড়ে করিত ভিড় অলিগলিতে;
কাকের শব্দে খা খা করিত দিবারাত্রে।


কেমন যেন নিস্তব্ধ লাগছে পুরো শহর ঘিরে,
বিষন্নতায় দীর্ঘশ্বাস ফেলি কেদারাতে বসে।
এই চাহনির চাহিদা কতো জানি নারে ভাই,
শুনেছি আমি আঁখিজলে খ্যাত ব্যক্তির নাম।


দেখিনি আমি ঐ চত্ত্বরে ট্রাফিক লাল সিগন্যাল,
চিন্তিত মানব গোটা কয়েক কাঁদছেন এক গাল।
রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা মাথায় কালো পতাকা
দিনমজুর, শ্রমিক ভাই-ভাই, কাঁধে মিলে কাঁধ;
ক্ষুণ্ণমনায় গাইছে অনুতপ্তের গান,গড়ছে বিমান।


আমি শুনিনি বিহঙ্গ, সুপ্রভাতের শ্রুতিকটুর ধ্বনি,
শুনিনি অরাজনৈতিকতার প্রতিধ্বনি।
চাহিয়া রইলাম আমি ঐ রাজপথটির মোড়ে;
যেথায় সমবেতকণ্ঠে কথা বলে ছাত্র অভিভাবক মিলে।


আমি দর্শন করেছি অডিটোরিয়ামের ঐ মিলাদে
আশীর্বাদ করেছি তার স্মরণে।
আমি অবস্থান করেছি ঐ চিরচেনা সবুজ মাঠে,
যেথায় করে এক মিনিট নীরবতা ছাত্র-ওস্তাদ মিলে।
আমি হেঁটেছি কয়েক মিটার যথেষ্টই শুনেছি এতে;
-"বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো।"
এমন কয়েক ডেসিবেল শব্দের বাণী জব্দ করেছি তাতে।
কী শক্তি! আহা! কী মহিমারে ভাই শব্দের যোজনে
সামান্য কেউ পারিবে না ক্ষমতার বিশ্লেষণে।
                                          সংক্ষেপিত


(১৫ ই আগস্ট ২০১৮,তাঁতি বাজার,ঢাকা)