কিশোর তুমি করছো কি জাতির জ্ঞানালয়ে;
কিসের জন্য আসছো তুমি এই শিক্ষালয়ে?
জ্ঞান গরিমায় পণ্ডিত হয়ে দাঁড়াবে পাশে বাবার
সংসারালয়ে আসবে সুখ হাসিবে তুমার বাবা।
গুছিবে কান্না,মুছিবে দুঃখ দুখিনী গৃহিণী মায়ের
তোমারই তরে সকল আবদার পূরণ হবে সবের।


তুমি কেমনে অতীত ভুলে গিয়াছ কিশোর?
বাবার অভিমান;জননীর ভালোবাসা আছে কি মস্তিষ্কে?
শৈশবে যখন ফিরতে বাড়ি গোধূলিরও পূর্বে
কাঙালি বাবা প্রতীক্ষা  করতো তোমারই জন্যে।
             কখন আসবে ফিরে!
  যখন আসবে খোকা, দেবো তুলে খেতে
বাবার ক্ষুধা নিবারণ হতো তোমারই তৃপ্তিতে।
            তুমি ভুলিলে কি করে?


   নিয়মানুবর্তী চলাচলে করিতে তুমি রীতিমতো
এ রুটিনের খেলাপ হলে বাবা হতেন খুব রাগান্বিত।
তুমি রাজন ডরে-ভয়ে কম্পিত হতো সমস্ত অঙ্গ!
সিংহের গর্জনে শরণ কেবল মায়েরই আঁচল।
          তোমার স্মৃতি পড়ে কি মনে?
         ধরায় অবলায় আছো কি ভেবে?


   অনুজা তোমার অধ্যয়নরত মহাবিদ্যালয়ে;
   করিতে কত খুনসুটি তুমি দিবারাত্র ঘিরে,
হৃদগহিনে ভালোবাসো কতো বলা হয়নি তারে।
অজ্ঞাত ছেলের হাত ধরে হাঁটতে দেবে তুমি তাকে?
  করিনি এমন ভাইয়ের দর্শন এ তাবৎ কালে।
এমন দৃশ্যে দৃশ্যমান কালে হয়না যদি অনুতপ্ত সে;
কবি মহাজন করিবে সম্বোধন কুলাঙ্গার ভাই তাকে।


লোহিত কণিকা লাফিয়ে উঠে আঘাত আনিবে হৃদে;
অক্সিজেনহীন মিল্কিওয়ে দেখাবে মুখাবয়ব কিসে?
হিমালয় অভিযানে সহ্যশক্তি অপার সৌন্দর্যের আশা
তুমি পারিবে কি করে অজানা মেয়ের হাত ধরে ঘুরা?


    তুমি মার্জিত; তুমি শিক্ষিত, গুরু তুল্য তুমি
      আপন ভালো গুণে গুণান্বিত হোক জাতি।
          ক্যাম্পাসে হবে না অরাজনীতি;
            হবে না ধর্ষণ খুন-খারাপি।
             চাই জঞ্জাল মুক্ত পৃথিবী!