মেঘাচ্ছন্ন গগন তলে মৃত্যু ঘটেছে আদিত্য প্রেমের,
প্রেমিকের দল নেমেছে সন্ধানে যুগলবন্দী ফ্রেমের।
হতাশাগ্রস্ত হৃদে হলুদাভ বাহুতে নেই কোন তেজ;
মলিন কাপড়ে পরিহিত যুবা স্বীকার করেছেন ত্যাগ।


রাত গেলো দিবা এলো হলো শীতের সন্ধ্যাকাশ,
দিবাস্বপ্ন হলো অতীত হয়নি বসন্তের আভাস।
    যুবা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে কেঁপে বলে-
         কোকিল তো ছিল না এমন!
         এতাবৎ শুনেনি এসব মানব।
কর্ডেট প্রাণি কাঁদো কেন লজ্জা হয়না তোমার;
শিরদাঁড়াহীন প্রাণির গতিপথেও হয়না এমন ভেজাল।

  বুকের পিঞ্জর হাড় শক্তিহীন যুবা শীতল;
  স্নায়ু সংকেতের অভাবে যুবা আজ অচল।
বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলে যুবা করিতো জয় সকল
         আজ কেন পারিবে না এমন?
জানি তুমি যে উন্মাদ কোকিলে,তুমি উদগ্রীব বসন্তে
তুমি আগ্রহান্বিত বসন্তের ফুল ফুটবে কখন।


তুমি আছো চিরন্তন সত্যের বাণিতে,
তুমি আছো রক্তকাঞ্চন বৃক্ষদেবীকে ঘিরে?
তুমি করছো স্পর্শ হিমঝুরি গাছের সবুজ বৃন্তকে।
তুমি ভাবছো বসন্তদিনে কোকিল ডাকবে
          ঐ নিকট অশোক কাননে?
তুমি চিরসবুজে ঘেরাও করা পুকুরপাড়ে বসে
         বাঁশের বাঁশিতে সুর মিলাবে।
তুমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছো
         শেওলা-ছাতার পরা সিঁড়িতে বসে?
        নীল শাড়ী পরে একদিন সে আসবে।


শীতের চাদরে মোড়ানো প্রভাত টুকরো টুকরো রোদ;
বসন্ত এনেছে আঘাত পিঞ্জর হীন যুবকের শোক।
ফাগুন বসন্ত তুমি নই সবার আশীর্বাদ স্বরূপ;
তুমি মহিমায় অদ্ভুত; তুমি যুবকের অসুখ।