তীব্র স্রোতের ফাঁদে; চাঁদ-সূর্য্যের জোয়ারে
ভিটেমাটি হারায় সে নিয়তির অবলীলায়
সঙ্গে সন্তান সখ্য করে এপার ওপার
ঘুরে বেড়ায় দিকদিগন্তে।-
সে এক চিরচেনা সবুজ উদ্ভিদ কচুরিপানা!
সে জানে তো?-
বাংলার অবয়বে মিশে আছে যে তার প্রাণ
তার সৌন্দর্য, রঙ-গন্ধ;
যেন ফুলে কমল ফোটে সরোবরে
বহন করে মানচিত্রে খচিত সবুজ বাংলাকে;
সে এক চিরচেনা বর্ধনশীল উদ্ভিদ কচুরিপানা!


হাঁটু ডুবে তরঙ্গের ডাকে নাচতে থাকে যখন
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলে কি তখন?
নাকি আর্তচিৎকার করে-
ওগো মানব শোনো,
আমি যাচ্ছি চলে দূর অজানায় অচিনপুরে
মা-কে বলে দিও আসব না আর ফিরে
         বলে দিও স্বাধীনতার কথা
জগৎ-সংসারে যেন না বলে মোর ব্যথা।


পরাশক্তিকে কার্য করিয়া পূর্ণ ষোল আনা
মোদের শক্তি মরিল যেচে মুক্তির বাহানা
দ্যুলোকে দ্যুলোকে উড়িয়া বেড়ায় অযুত ডানা
আমার স্বাধীনতা কেন আজ সাদা-কালা?
ওহে বাংলার জ্ঞানী মানুষ-


শুনিলাম অর্জন করিয়াছ স্বাধীনতা!
সংবিধানে আছে কি বাক-স্বাধীনতা?
আমাদের স্বাধীনতায় মুক্তি না পেলেও
আছে স্বীয়শক্তির দ্বারা যেচে সব বলা;
আমরা জলজ উদ্ভিদ সবুজ কচুরিপানা।


২১ আগস্ট ২০২০